গত ১৪ জুলাই মধুখালী মরিচ আরতে যেখানে মরিচের দাম ৭ হাজার থেকে ৮ হাজারের মধ্যে থাকলেও গতকাল ১৫ জুলাই ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার মরিচ বিক্রি হয়েছে, ১৬ জুলাই বুধবার মধুখালী আরতে ঘুরে দেখা যায় মরিচ বাজার ৪ হাজার ৩ শত থেকে ৪ হাজার ৫ শত করে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে, এতে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
তারা বলছে, ভারত থেকে কাঁচামরিচ বাংলাদেশে আসায় দেশি মরিচের বাজার কমে গেছে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে কৃষকের নিচু জমির মরিচ গাছ মরে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছিল কিন্তু যাওবা কিছু মরিচগাছ বেঁচে আছে তাও যদি মরিচের দাম কমে যায় তাহলে মরিচ চাষীদের লোকসানে পড়তে হবে, উপজেলার বামুন্দী বালিয়াকান্দি গ্রামের কৃষক মরিচ চাষী শামসুল ইসলাম জানান, আমি প্রতি বছর ৫ থেকে ৬ পাকি জমিতে মরিচ আবাদ করি যা বৃষ্টির কারনে সাড়ে ৪ পাকি মরিচ নষ্ট হয়ে গেছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলার চরারকান্দী এলাকার কৃষক আলমগীর বলেন মরিচে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে মরিচ পচন ধরছে এরপর দাম কমে গেছে মরিচের দাম ৬ হাজার টাকার উপরে থাকলে লোকসান পুশাবে। কাদিরদী গ্রামের মরিচ চাষীর সাথে মরিচের আরতে কথা বললে তিনি বলেন পরশু শুনলাম ৮ হাজার টাকা আজকে ৪ হাজার ৩ শত টাকা এমনিতে মরিচ চাষ করে লোকশানে আছি এরপর দাম কম হলে চলতে পারবো না, একই গ্রামের ইকমল হোসেন বলেন, ভারতে মরিচ বাংলাদেশ ঢুকাই আমরা সাধারণ কৃষক মরিচের বেশি দাম পাচ্ছি না আর বেশি দাম না পেলে আমাদের লোকসান হবে।
মধুখালী আরতের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান বলেন, একদিন আগে ৭ থেকে ৮ হাজার মরিচ ছিল হঠাৎ গতকাল থেকে মরিচের দাম কম এতে কৃষকের কিছুটা লোকশান হবে তবে ৬ হাজার টাকা মরিচ না থাকলে মরিচ চাষীদের লোকসানে পড়তে হবে তিনি আরো বলেন, প্রথম দিকে মরিচের দাম একেবারে কম ছিল এখন বৃষ্টির কারনে মরিচের দাম বৃদ্ধি হয়েছিল।
যতটুকু জানা যাচ্ছে ভারত থেকে মরিচ আসার কারনে দেশিয় মরিচের দাম কমে গেছে।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব এলাহী বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৭২০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ৭ হেক্টর জমি নষ্ট হয়ে গেছে ১৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের গাছ আক্রান্ত হয়েছে, মরিচ চাষীরা প্রথম দিকে মরিচের দাম পায়নি কিন্তু এখন অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে যখন দাম বৃদ্ধি পেলো, তখন আবার শুনছি ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হচ্ছে, আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মরিচ চাষিদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছি।
প্রিন্ট