ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় সন্ত্রাসী মামলার প্রধান আসামী জাসদ নেতা শাহানুর গ্রেফতার

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আফাজ ও মালেক কে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা মামলার প্রধান আসামী জাসদের সন্ত্রাসী শাহানুর কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত দবির মোল্লার ছেলে বলে জানাযায়।

 

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নহীরের মোড়ে মির্জাপুর গ্রামের ৬/৩/২৫ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ ও পরে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মালেক (৬২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এই ব্যাপারে ভেড়াামারা থানায় মামলা হয়। মামলা নং ১৪ । তারিখ ৯/৩/২৫। এই মামলার জড়িত এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মির্জাপুর গ্রামের মৃত দবির মোল্লা ছেলে জাসদ নেতা শাহানুর (৫৫) কে আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টার সময় মির্জপুর একটি পান বরজ থেকে গ্রেফতার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।

 

মামলার আসামীরা আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ ও পরে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মালেক (৬২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।এই ঘটনায় ভেড়াামারা থানায় একটি মামলা হয়।মামলা নং- ১৪। মামলার জড়িত এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মির্জাপুর গ্রামের মৃত দবির মোল্লা ছেলে শাহানুর (৫৫) কে আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টার সময় মির্জাপুর একটি পান বরজ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য,উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নহীরের মোড়ে মির্জাপুর গ্রামের আকমত মোল্লার স্ত্রী মোছা: ফিরোজা খাতুন বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানা গত ৯/৩/২৫ তারিখে মামলা দায়ের করেছেন।

 

মামলা নং ১৪। ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোর্ড। আসামীরা বিগত সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছিলো।

 

আরো জানাযায়,আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ দিয়ে মাথার পেছনে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ২ নং আসামীর হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আফাজকে এলোপাথাড়ি মেরে আফাজের বুকে,পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে।এজাহারে যা উল্লেখ্য করেছেন,আসামীগনের বিরূদ্ধে এই মর্মে লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করছি যে, ০১ নং আসামীর যোগসাজসে আসামীরা বিগত সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। এরই সূত্রে আসামীদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে, গত ইং-০৬-০৩-২০২৫ তারিখ সন্ধা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা থানাধীন জুনিয়াদহ নহিরের মোড় এ আমার ছেলে মোঃ আফাজ, ভাসুর মোঃ মালেক, ভাতিজা মোঃ বিল্লাল ও ঝন্টু সহ তাদের সঙ্গীয়রা আসলে, পূর্ব হতেই ০১ নং আসামীর পরিকল্পনায় ও নির্দেশে উল্লেখিত আসামীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা, হাসুয়া, হাত-কুড়াল, লোহার পাইপ, রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা নিয়ে তাদের পথোরোধ করে।

 

০১ নং আসামী মোঃ শাহাবুল মোল্লার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে মোঃ আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ দিয়ে মাথার পেছনে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ০২ নং আসামীর হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আফাজকে এলোপাথাড়ি মেরে আফাজের বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে। পাশে থাকা আমার ভাসুর মোঃ মালেক (৬২) এগিয়ে আসলে ০৬ নং আসামীর হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথায় কোপ দিলে, মালেক ঘুরে দাড়ালে কোপটি মালেকের বাম কানের পাশে চোয়ালে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। আমার ভাতিজা মোঃ বিল্লাল মোল্লা এগিয়ে আসলে ০৩ নং আসামীর হাতে থাকা হাত-কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে বাম কানের উপরে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়।

 

পাশে থাকা আরেক ভাতিজা মোঃ ঝন্টু কে ১০ নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথায় কোপ দিয়ে মাথার উপরে মাঝে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ০৪ নং আসামীর হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝন্টুর মাথায় কোপ দিলে ঝন্টু সড়ে দাড়ালে ঝন্টুর কপালে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ০৫ নং আসামীর হাতে থাকা রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে ঝন্টু তার বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে ঝন্টুর বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলটি গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

 

০৭, ০৮ ও ০৯ নং আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা ০২/০৩ জন আসামীদের হাতে থাকা লোহার পাইপ, রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা দিয়ে জখমিদের এলোপাথাড়ি মেরে তাদের পিঠে, বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক নিলাফোলা জখম করে। উল্লেখিত আসামীরা আমাদের ব্যবহিত ০৪টি মোটরসাইকেল গাড়ি ভাংচুর করে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪,০০,০০০/=(চার লক্ষ) টাকা। ডাক চিৎকারে আসা স্বাক্ষী-০১। মোঃ হেলাল (৫২), পিতা-মৃত দুলাল, ০২। মোঃ আলম (৫৭), ০৩। মোঃ নিহারুল (৪৮), উভয় পিতা-মৃত মুলাম, ০৪। মোঃ শহিদুল (৫৯), পিতা-মৃত কাদের মোল্লা, সর্ব সাং-মির্জাপুর, জুনিয়াদহ, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াদ্বয়েরা সহ স্থানীয় লোকজনেরা সবাই এগিয়ে আসলে উল্লেখিত আসামীরা আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

 

স্বাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনেরা জখমিদের উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। জখমিদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জখমিদের দেখে ভর্তি করেন। আসামীরা হিংস্র প্রকৃতির ও আইন অমান্যকারি। আসামীদের দ্বারা আমার ও আমার পরিবারের যে কাহারোর প্রাননাশ সহ যে কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশু সম্ভাবনা

 

মিন্টু ও সাহাজুল মোল্লার নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী শরীফ মোল্লার ওপর নৃশংস হামলা চালায়। হামলায় তিনি মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। এই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (৭ ই মার্চ) শরিফ মোল্লার ছোট ভাই শাহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মিন্টু মোল্লা ও সাহাজুল মোল্লাসহ ৮ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করে।

 

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহিদুল ইসলামের নির্দেশে থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেড়ামারা শহরে অভিযান চালিয়ে প্রধান ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার মৃত সামির উদ্দিনের পুত্র মামলার ১ নং এজাহারনামীয় আসামি মিন্টু মোল্লা ও ২ নং আসামী শাহাজুল মোল্লা। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ৭ নং আসামি একই এলাকার মো:আকমল মোল্লার পুত্র মো: মোহন মোল্লা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় সন্ত্রাসী মামলার প্রধান আসামী জাসদ নেতা শাহানুর গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ৭ ঘন্টা আগে
ইসমাইল হােসেন বাবু, সিনিয়র ষ্টাফ রিপাের্টার :

ইসমাইল হোসেন বাবুঃ

 

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আফাজ ও মালেক কে নৃশংসভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা মামলার প্রধান আসামী জাসদের সন্ত্রাসী শাহানুর কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত দবির মোল্লার ছেলে বলে জানাযায়।

 

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নহীরের মোড়ে মির্জাপুর গ্রামের ৬/৩/২৫ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ ও পরে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মালেক (৬২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এই ব্যাপারে ভেড়াামারা থানায় মামলা হয়। মামলা নং ১৪ । তারিখ ৯/৩/২৫। এই মামলার জড়িত এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মির্জাপুর গ্রামের মৃত দবির মোল্লা ছেলে জাসদ নেতা শাহানুর (৫৫) কে আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টার সময় মির্জপুর একটি পান বরজ থেকে গ্রেফতার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।

 

মামলার আসামীরা আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ ও পরে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মালেক (৬২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।এই ঘটনায় ভেড়াামারা থানায় একটি মামলা হয়।মামলা নং- ১৪। মামলার জড়িত এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মির্জাপুর গ্রামের মৃত দবির মোল্লা ছেলে শাহানুর (৫৫) কে আজ ১৪ মার্চ শুক্রবার সকাল ১১টার সময় মির্জাপুর একটি পান বরজ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য,উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের নহীরের মোড়ে মির্জাপুর গ্রামের আকমত মোল্লার স্ত্রী মোছা: ফিরোজা খাতুন বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানা গত ৯/৩/২৫ তারিখে মামলা দায়ের করেছেন।

 

মামলা নং ১৪। ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোর্ড। আসামীরা বিগত সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছিলো।

 

আরো জানাযায়,আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ দিয়ে মাথার পেছনে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ২ নং আসামীর হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আফাজকে এলোপাথাড়ি মেরে আফাজের বুকে,পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে।এজাহারে যা উল্লেখ্য করেছেন,আসামীগনের বিরূদ্ধে এই মর্মে লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করছি যে, ০১ নং আসামীর যোগসাজসে আসামীরা বিগত সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। এরই সূত্রে আসামীদের সাথে আমাদের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে, গত ইং-০৬-০৩-২০২৫ তারিখ সন্ধা অনুমান ০৭:০০ ঘটিকার সময় ভেড়ামারা থানাধীন জুনিয়াদহ নহিরের মোড় এ আমার ছেলে মোঃ আফাজ, ভাসুর মোঃ মালেক, ভাতিজা মোঃ বিল্লাল ও ঝন্টু সহ তাদের সঙ্গীয়রা আসলে, পূর্ব হতেই ০১ নং আসামীর পরিকল্পনায় ও নির্দেশে উল্লেখিত আসামীরা বেআইনী জনতাবদ্ধে দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা, হাসুয়া, হাত-কুড়াল, লোহার পাইপ, রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা নিয়ে তাদের পথোরোধ করে।

 

০১ নং আসামী মোঃ শাহাবুল মোল্লার হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলে মোঃ আফাজ (৩৫) এর মাথায় কোপ দিয়ে মাথার পেছনে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ০২ নং আসামীর হাতে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আফাজকে এলোপাথাড়ি মেরে আফাজের বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফোলা জখম করে। পাশে থাকা আমার ভাসুর মোঃ মালেক (৬২) এগিয়ে আসলে ০৬ নং আসামীর হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথায় কোপ দিলে, মালেক ঘুরে দাড়ালে কোপটি মালেকের বাম কানের পাশে চোয়ালে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। আমার ভাতিজা মোঃ বিল্লাল মোল্লা এগিয়ে আসলে ০৩ নং আসামীর হাতে থাকা হাত-কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে বাম কানের উপরে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়।

 

পাশে থাকা আরেক ভাতিজা মোঃ ঝন্টু কে ১০ নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে মাথায় কোপ দিয়ে মাথার উপরে মাঝে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ০৪ নং আসামীর হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝন্টুর মাথায় কোপ দিলে ঝন্টু সড়ে দাড়ালে ঝন্টুর কপালে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়। ০৫ নং আসামীর হাতে থাকা রামদা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে ঝন্টু তার বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে ঝন্টুর বাম হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলটি গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।

 

০৭, ০৮ ও ০৯ নং আসামীরা সহ অজ্ঞাতনামা ০২/০৩ জন আসামীদের হাতে থাকা লোহার পাইপ, রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা দিয়ে জখমিদের এলোপাথাড়ি মেরে তাদের পিঠে, বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনাদায়ক নিলাফোলা জখম করে। উল্লেখিত আসামীরা আমাদের ব্যবহিত ০৪টি মোটরসাইকেল গাড়ি ভাংচুর করে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৪,০০,০০০/=(চার লক্ষ) টাকা। ডাক চিৎকারে আসা স্বাক্ষী-০১। মোঃ হেলাল (৫২), পিতা-মৃত দুলাল, ০২। মোঃ আলম (৫৭), ০৩। মোঃ নিহারুল (৪৮), উভয় পিতা-মৃত মুলাম, ০৪। মোঃ শহিদুল (৫৯), পিতা-মৃত কাদের মোল্লা, সর্ব সাং-মির্জাপুর, জুনিয়াদহ, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়াদ্বয়েরা সহ স্থানীয় লোকজনেরা সবাই এগিয়ে আসলে উল্লেখিত আসামীরা আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

 

স্বাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনেরা জখমিদের উদ্ধার করে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। জখমিদের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জখমিদের দেখে ভর্তি করেন। আসামীরা হিংস্র প্রকৃতির ও আইন অমান্যকারি। আসামীদের দ্বারা আমার ও আমার পরিবারের যে কাহারোর প্রাননাশ সহ যে কোন বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশু সম্ভাবনা

 

মিন্টু ও সাহাজুল মোল্লার নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী শরীফ মোল্লার ওপর নৃশংস হামলা চালায়। হামলায় তিনি মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। এই ঘটনায় গতকাল শুক্রবার (৭ ই মার্চ) শরিফ মোল্লার ছোট ভাই শাহাবুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মিন্টু মোল্লা ও সাহাজুল মোল্লাসহ ৮ জনকে আসামি করে এজাহার দায়ের করে।

 

ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহিদুল ইসলামের নির্দেশে থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেড়ামারা শহরে অভিযান চালিয়ে প্রধান ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা হল জুনিয়াদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার মৃত সামির উদ্দিনের পুত্র মামলার ১ নং এজাহারনামীয় আসামি মিন্টু মোল্লা ও ২ নং আসামী শাহাজুল মোল্লা। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় ৭ নং আসামি একই এলাকার মো:আকমল মোল্লার পুত্র মো: মোহন মোল্লা।


প্রিন্ট