ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগেশ্বরীতে কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় নিষিদ্ধ জালে অবাধে মাছ শিকার

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এসব জালে অবাধে ছোট মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তারেও প্রভাব ফেলছে। এতে করে দেশি মাছ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে এলাকাবাসীর। উপজেলার সর্বত্রই মাছের মরণ ফাঁদ চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার চলছে। কারেন্ট জালের থেকেও ভয়ংকর জাল এই চায়না দুয়ারি।
লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি নতুন ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি জাল ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। শুধু দেশি নানা জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্প ব্যয়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই চায়না দুয়ারি জাল। উপজেলা সদরের সব বাজারেই যেমন চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে।
ঠিক তেমনি প্রশাসনের নাকের ডগায় বিক্রি করা হচ্ছে এই চায়না দুয়ারি। বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, নাগেশ্বরী বাজারেই বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় চায়না দুয়ারি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকতার তদারকি না থাকায় দুধকুমার, ফুলকুমার, গঙ্গাধর, চড়াইখালি, পাগলির ব্রীজ, মাদাইখাল, খোরা ডারা, কাশিল ডারা, শতিবাড়ীর দোলা সহ উপজেলা ছোট বড় বিভিন্ন নদীতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল। বৃষ্টি হলেই এক ধরনের মাছ শিকারি চায়না দুয়ারি জাল নিয়ে নেমে পড়েন। তারা নদী-পুকুর, জলাশয় ও নিচু জমিতে এই জাল বসিয়ে মাছ ধরেন। স্থানীয়রা জানায় এই জাল ব্যবহারের ফলে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

নাগেশ্বরীতে কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় নিষিদ্ধ জালে অবাধে মাছ শিকার

আপডেট টাইম : ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
জেলাল আহম্মদ রানা, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। এসব জালে অবাধে ছোট মাছ ধরা হচ্ছে। ফলে মাছের বংশ বিস্তারেও প্রভাব ফেলছে। এতে করে দেশি মাছ হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা করছে এলাকাবাসীর। উপজেলার সর্বত্রই মাছের মরণ ফাঁদ চায়না দুয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার চলছে। কারেন্ট জালের থেকেও ভয়ংকর জাল এই চায়না দুয়ারি।
লোহার রডের গোলাকার বা চতুর্ভুজ আকৃতির কাঠামোর চারপাশে চায়না জাল দিয়ে ঘিরে এই চায়না দুয়ারি নতুন ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। চায়না দুয়ারি জাল ৫০ থেকে ৮০ হাত পর্যন্ত লম্বা হয়। শুধু দেশি নানা জাতীয় ছোট মাছ নয় বরং এই জালে আটকা পড়ে সব প্রজাতির মাছ। স্বল্প ব্যয়ে এবং অল্প পরিশ্রমে অধিক আয়ের উৎস হওয়ায় জেলেদের কাছে খুব দ্রত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই চায়না দুয়ারি জাল। উপজেলা সদরের সব বাজারেই যেমন চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে ধরা ছোট ছোট মাছ বিক্রি হচ্ছে।
ঠিক তেমনি প্রশাসনের নাকের ডগায় বিক্রি করা হচ্ছে এই চায়না দুয়ারি। বল্লভেরখাষ ইউনিয়নের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, নাগেশ্বরী বাজারেই বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় চায়না দুয়ারি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকতার তদারকি না থাকায় দুধকুমার, ফুলকুমার, গঙ্গাধর, চড়াইখালি, পাগলির ব্রীজ, মাদাইখাল, খোরা ডারা, কাশিল ডারা, শতিবাড়ীর দোলা সহ উপজেলা ছোট বড় বিভিন্ন নদীতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল। বৃষ্টি হলেই এক ধরনের মাছ শিকারি চায়না দুয়ারি জাল নিয়ে নেমে পড়েন। তারা নদী-পুকুর, জলাশয় ও নিচু জমিতে এই জাল বসিয়ে মাছ ধরেন। স্থানীয়রা জানায় এই জাল ব্যবহারের ফলে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে।

প্রিন্ট