স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকে ফেলে নিখোঁজের ১৬ দিন পর পঁচাগলা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পলাতক আসামী স্বামী উজ্জল শেখকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর র্যাব-১০।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুর র্যাব-১০ এর সম্মলেন কক্ষে কোম্পানী অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্বামী উজ্জলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রধান আসামী স্বামী উজ্জল শেখকে ফরিদপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া উজ্জল শেখ রাজবাড়ির বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মো. কুদ্দুস শেখের ছেলে।
র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক কে এম শাইখ আকতার জানান, গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে ও পারিবারিক কলহের কারণে ৩ আগস্ট রাতে রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার তেতুলিয়ায় স্ত্রী মিনু বেগমকে (২৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখে। পরে এ হত্যার ঘটনাটি আড়াল করতে স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনা প্রচার করে গৃহবধূর স্বামী উজ্জল ও তার পরিবারের লোকজন।
অতঃপর গত ১৯ আগস্ট ওই গৃহবধুর স্বামীর বাড়ী থেকে পঁচা দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে সংবাদ দেয় এলাকাবাসী। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির সেফটি ট্যাংকি থেকে নিখোঁজ মিনু বেগমের পঁচাগলা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের মা সোনা বানু বাদি হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
- আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় গ্রেনেড বােম উদ্ধার
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের আসামী উজ্জল তার স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি জহুরা বেগম পুলিশ হেফাজতে হত্যা ও গুমের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
প্রিন্ট