ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

জমি জবরদখলের প্রতিবাদে ও জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

পাবনার চাটমোহর পৌরসভার আফ্রাতপাড়া মহল্লায় জাল দলিল তৈরি করে জমি জবরদখল করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই সাথে জাল দলিলের মাধ্যমে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারী করে নেওয়া হয়েছে। এই জমি উদ্ধারের জন্য জমির প্রকৃত মালিকরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোন সুরাহা না পেয়ে ভুক্তভোগিদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
জাল দলিল তৈরি করে জমি জবরদখলের প্রতিবাদে এবং জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত আঃ লতিফের ছেলে মোঃ আঃ রাজ্জাক। গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাট এলাকায় উপজেলা কৃষক লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ আঃ রাজ্জাক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত আঃ লতিফের একটি দলিল মূলে (যার নং ৫০৯০,তাং ১২/০১/১৯৫৩ ইং) আফ্রাতপাড়া মৌজার ১১ নং ও ১৪ নং দাগের জমি জনৈক আঃ রাজ্জাক মীর ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আঃ রাজ্জাক মীর সেই জমি জনৈক মোঃ মহসীনের নিকট বিক্রি করেন। মহসীন আলী ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে নিজ নামে ৮৪/২১-২২ নং নামজারি (খারিজ) করে নেন। কিন্তু আঃ রাজ্জাক মীর আঃ লতিফের যে দলিল মূলে এই জমি ক্রয় করেন এবং পরর্বীতে মহসীন আলীর নিকট বিক্রি করেন,সেই দলিলের কোন প্রকার অস্তিত্বই নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আঃ রাজ্জাক বলেন, মহসীন আলীর নামজারীর বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট মিস কেস দায়ের করা হলে,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসকেস খারিজ করে মহসীন আলীর নামজারী বহাল রাখেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগি আঃ রাজ্জাক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পাবনার আদালতে আপীল করেন। একইসাথে পাবনা জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট ১২/০১/১৯৫৩ সালের ৫০৯০ নং দলিলের অনুলিপির জন্য আবেদন করেন। জেলা রেজিস্ট্রার পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেন। পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার  মোঃ হাফিজুর রহমান খান গত ২৩/০৮/২০২২ ইং তারিখে তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ১২/০১/১৯৫৩ সনের ৫০৯০ নং দলিলটি সৃষ্টি হয়নি। ফলে আঃ রাজ্জাক মীর আঃ লতিফের নিকট থেকে যে জমি ক্রয়ের দলিল সৃষ্টি করেছেন তা সঠিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আঃ রাজ্জাক বলেন,সকল কিছু যাচাই বাছাই ও তদন্ত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাঁর আদেশে বলেছেন,যেহেতু ১৯৫৩ সালে ৫০৯০ নং দলিল সৃষ্টি হয়নি সেহেতু উক্ত দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করাও সঠিক হয়নি। একইসাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক মোঃ আঃ রাজ্জাক কর্তৃক দায়ের করা ৭৫/২১-২২ নং মিসকেসের আদেশটি সঠিক হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহসীন আলীর ৮৪/২১-২২ নং নামজারীর মাধ্যমে সৃষ্ট খারিজকৃত সম্পত্তি মূল খতিয়ানে ফেরত দেওয়ার জন্য আদেশ দেন এবং প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিতে এসি ল্যান্ডেকে আদেশ দেন।
ভুক্তভোগি আঃ রাজ্জাক বলেন, আমার পিতা আঃ লতিফ প্রাং এর জমি জাল দলিলের মাধ্যমে জবর দখল করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয়ের আদেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা। মহসীন আলীর পক্ষে এলাকার প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠি জড়িত থাকায় আমরা হতদরিদ্র ব্যক্তিরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনি দ্রত জাল দলিলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আঃ লতিফের ওয়ারিশগণের জমি দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

জমি জবরদখলের প্রতিবাদে ও জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
পাবনার চাটমোহর পৌরসভার আফ্রাতপাড়া মহল্লায় জাল দলিল তৈরি করে জমি জবরদখল করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একই সাথে জাল দলিলের মাধ্যমে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে নামজারী করে নেওয়া হয়েছে। এই জমি উদ্ধারের জন্য জমির প্রকৃত মালিকরা দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কোন সুরাহা না পেয়ে ভুক্তভোগিদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
জাল দলিল তৈরি করে জমি জবরদখলের প্রতিবাদে এবং জমি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগি আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত আঃ লতিফের ছেলে মোঃ আঃ রাজ্জাক। গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চাটমোহর নতুন বাজার খেয়াঘাট এলাকায় উপজেলা কৃষক লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ আঃ রাজ্জাক।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আফ্রাতপাড়া মহল্লার মৃত আঃ লতিফের একটি দলিল মূলে (যার নং ৫০৯০,তাং ১২/০১/১৯৫৩ ইং) আফ্রাতপাড়া মৌজার ১১ নং ও ১৪ নং দাগের জমি জনৈক আঃ রাজ্জাক মীর ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আঃ রাজ্জাক মীর সেই জমি জনৈক মোঃ মহসীনের নিকট বিক্রি করেন। মহসীন আলী ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে নিজ নামে ৮৪/২১-২২ নং নামজারি (খারিজ) করে নেন। কিন্তু আঃ রাজ্জাক মীর আঃ লতিফের যে দলিল মূলে এই জমি ক্রয় করেন এবং পরর্বীতে মহসীন আলীর নিকট বিক্রি করেন,সেই দলিলের কোন প্রকার অস্তিত্বই নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আঃ রাজ্জাক বলেন, মহসীন আলীর নামজারীর বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নিকট মিস কেস দায়ের করা হলে,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসকেস খারিজ করে মহসীন আলীর নামজারী বহাল রাখেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগি আঃ রাজ্জাক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পাবনার আদালতে আপীল করেন। একইসাথে পাবনা জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট ১২/০১/১৯৫৩ সালের ৫০৯০ নং দলিলের অনুলিপির জন্য আবেদন করেন। জেলা রেজিস্ট্রার পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রারকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেন। পাবনা সদর সাব রেজিস্ট্রার  মোঃ হাফিজুর রহমান খান গত ২৩/০৮/২০২২ ইং তারিখে তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন ১২/০১/১৯৫৩ সনের ৫০৯০ নং দলিলটি সৃষ্টি হয়নি। ফলে আঃ রাজ্জাক মীর আঃ লতিফের নিকট থেকে যে জমি ক্রয়ের দলিল সৃষ্টি করেছেন তা সঠিক নয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ আঃ রাজ্জাক বলেন,সকল কিছু যাচাই বাছাই ও তদন্ত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাঁর আদেশে বলেছেন,যেহেতু ১৯৫৩ সালে ৫০৯০ নং দলিল সৃষ্টি হয়নি সেহেতু উক্ত দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করাও সঠিক হয়নি। একইসাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক মোঃ আঃ রাজ্জাক কর্তৃক দায়ের করা ৭৫/২১-২২ নং মিসকেসের আদেশটি সঠিক হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহসীন আলীর ৮৪/২১-২২ নং নামজারীর মাধ্যমে সৃষ্ট খারিজকৃত সম্পত্তি মূল খতিয়ানে ফেরত দেওয়ার জন্য আদেশ দেন এবং প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিতে এসি ল্যান্ডেকে আদেশ দেন।
ভুক্তভোগি আঃ রাজ্জাক বলেন, আমার পিতা আঃ লতিফ প্রাং এর জমি জাল দলিলের মাধ্যমে জবর দখল করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয়ের আদেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা। মহসীন আলীর পক্ষে এলাকার প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠি জড়িত থাকায় আমরা হতদরিদ্র ব্যক্তিরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনি দ্রত জাল দলিলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও আঃ লতিফের ওয়ারিশগণের জমি দখলমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রিন্ট