অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে এইচএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে মেধাবী অন্ধ শিক্ষার্থী অরিত্র ইশতিয়াক আলম। ইচ্ছা শক্তি ও দৃঢ় মনোবল থাকলে যে নির্দিষ্ট লক্ষে পৌছা যায় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ অরিত্র। সে অন্ধত্বকে বাধা মনে না করে অন্ধত্বকে জয় করে স্পিকারে শুনে এই এবারের অনুষ্ঠিতব্ব এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। পরিক্ষা কেন্দ্রে সে মুখে বলে দিচ্ছে তার হয়ে শ্রুতি লেখক দশম শ্রেণির ছাত্রী সুচিত্রা বিশ্বাস লিখে দিচ্ছে।
সে সরকারি মুকসুদপুর কলেজ থেকে মানবিক বিভাগ নিয়ে সরকারি সাবের মিয়া জসিমুদ্দীন এসজে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এইচএসসি পরিক্ষা-২০২৩ এ অংশ নিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। সে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ফিরোজ আলম মৃধার ছেলে।
ইশতিয়াক আলম অরিত্রর পিতা ফিরোজ আলম মৃধা জানান, আমার ছেলে জন্ম থেকেই একটু চোখে কম দেখে। প্রথমে বাম চোখে সমস্যা ছিলো। ইন্ডিয়া থেকে তার চোখের অপারেশন করানোর পরে তার ডান চোখে সমস্যা হয়। বর্তমানে তাকে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এতো সমস্যা থাকার পরেও তার অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর পড়াশোনার প্রতি ভালোবাসা থেকেই সে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। সে চোখে দেখতে পায়না তাই একজন শ্রুতি লেখক দিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। আমি আমার সন্তানের জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক ড. কবির আহম্মেদ জানান, অরিত্র একজন মেধাবী ছাত্র, সে কলেজের নিয়মিত ছাত্র। কলেজে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন সময়ে পুরষ্কার পেয়েছে। সে তার অন্ধত্বকে জয় করে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে।
মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদৎ আলী মোল্যা জানান, অরিত্র শিক্ষা বোর্ড থেকে পাশ নিয়ে শ্রুতি লেখক দিয়ে পরিক্ষা দিচ্ছে। তার এই ইচ্ছা শক্তিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আশা করি সে ভালো ফলাফল করবে। তিনি আরও জানান, এবারের অনুষ্ঠিতত্ব এইচ এসসি পরিক্ষা সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ও সরকারি এসজে উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে মোট ১৯৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেছে।
প্রিন্ট