ঢাকা , শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

৫০ বছরের গ্রামীণ কাঁচা সড়ক অস্বস্তিতে যাতায়াত চরম দুর্ভোগ এলাকাবাসীর

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ঘোষপুর ও সাতৈর এ দুই ইউনিয়নের পাশাপাশি একটি পঞ্চাশ বছরের কাঁচা গ্রামীণ সড়ক দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে রাস্তায় কাঁদার কারণে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫-৭ গ্রামের লোকজনের যাতায়াত । গুরুত্ব পূর্ণ এ গ্রামীণ সড়ক ঘোষপুর ইউনিয়নের অংশ সাতৈর বাজার গোরস্থানের মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে বাকু মেম্বরের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে চৌরাস্তায় শেষ হয়। সেখান থেকে বোতনের মাঠ হয়ে পাটিতাপাড়া ঈদগা পর্যন্ত সাতৈর ইউনিয়নের অংশ। মূলত দুই ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াতের রাস্তা এটি। জনদুর্ভোগ কমাতে গ্রামীণ এ সড়ক গুলোয় ইটের সলিং দেয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী। প্রেমতারা, কেরশাইল, আরাজী, পাইকহাটি, পাটিতাপাড়া, সাতৈর, গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন এসড়কটি দিয়ে। বর্ষকালে মাটির এ রাস্তায় জুতা পায়ে, কাপড় পরিধান করে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষার সময়ে এ এলাকার লোকজন বা গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হবে না। এমনকি বোতনের মাঠ থেকে ফসল ও কেউ মারা গেলে তার লাশ কবর স্থানে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।

পাটিতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সত্তার মাতবর বলেন, জৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে আমরা এ রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতে পাড়িনা। বৃষ্টি হলে ফরজ তলোপ করে কাপড় উচু করে যাতায়াত করতে হয়। তাই আমাদের দাবী এ গ্রামীণ কাঁচা সড়কটিতে ইটের সলিং করে দিলে অন্ততপক্ষে হাটা চলা করা যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী দ্রুত আমাদের এলাকার কাঁচা সড়কটি ইটের সলিং দিয়ে ৭ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা করে দেয়ার আহবান জানান। তারা আরও বলেন, এ রাস্তাটা দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, এমনকি কেউ মারা গেলে কবর স্থানে নেয়া লাগে এ সড়ক দিয়ে।

ঘোষপুর ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল গ্রাম হবে শহর। তবে অনেক এলাকার চিত্র পরিবর্তন হয়ে শহরে পরিনিত হয়েছে। অথচ ঘোষপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ও সাতৈর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ৫০ বছরের গ্রামীণ একটি সড়কে ইটের ছোঁয়া লাগেনি। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় হাটু পর্যন্ত গেড়ে যায়। যাতায়াতের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

দুর্বিষহ জীনন যাপন করছে ৬ গ্রামের লোকজন।

সাতৈর ইউপি সদস্য সৈয়দ শফিকুল আজম মাকুল বলেন, বোতনের মাঠের অধিকাংশের ফসল এ রাস্তা দিয়ে আনা নেয়া করে থাকে। এ এলাকাটা কৃষিসমৃদ্ধের উপর নির্ভর। বৃষ্টিতে রাস্তায় কাঁদা হলে কৃষকেরা ধান পাট বা অন্য ফসল বিক্রি করতে হাট বাজারে নিতে পাড়ে না। তাই সংশ্লিষ্টের কাছে আমার আকুল আবেদন এ রাস্তাটা দ্রুত গতিতে ইটের সলিং করে দেয়ার আহবান জানাই।

 

 

ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন নবাব মিঞা বলেন, আমি গোরস্থান থেকে ইউনুস শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৯ মিটার কাঁচা গ্রামীণ সড়কে ইটের সলিংয়ের কাজ করেছি। বাকি আছে বাকু মেম্বরারে বাড়ি সংলগ্ন মসজিদ পর্যন্ত। যেহেতু সেখান দিয়ে একাধিক গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে। আমরা আগামীতে কোন বরাদ্দ পেলে বাকি অংশে ইটের সলিং রাস্তা করে দিব।

সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলে বা জনদুর্ভোগের কারণ হলে ইটের সলিং করে দেয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

৫০ বছরের গ্রামীণ কাঁচা সড়ক অস্বস্তিতে যাতায়াত চরম দুর্ভোগ এলাকাবাসীর

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩
এস. এম. রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা ঘোষপুর ও সাতৈর এ দুই ইউনিয়নের পাশাপাশি একটি পঞ্চাশ বছরের কাঁচা গ্রামীণ সড়ক দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বৃষ্টি নামলে রাস্তায় কাঁদার কারণে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫-৭ গ্রামের লোকজনের যাতায়াত । গুরুত্ব পূর্ণ এ গ্রামীণ সড়ক ঘোষপুর ইউনিয়নের অংশ সাতৈর বাজার গোরস্থানের মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে বাকু মেম্বরের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে চৌরাস্তায় শেষ হয়। সেখান থেকে বোতনের মাঠ হয়ে পাটিতাপাড়া ঈদগা পর্যন্ত সাতৈর ইউনিয়নের অংশ। মূলত দুই ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াতের রাস্তা এটি। জনদুর্ভোগ কমাতে গ্রামীণ এ সড়ক গুলোয় ইটের সলিং দেয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী। প্রেমতারা, কেরশাইল, আরাজী, পাইকহাটি, পাটিতাপাড়া, সাতৈর, গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন এসড়কটি দিয়ে। বর্ষকালে মাটির এ রাস্তায় জুতা পায়ে, কাপড় পরিধান করে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষার সময়ে এ এলাকার লোকজন বা গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হবে না। এমনকি বোতনের মাঠ থেকে ফসল ও কেউ মারা গেলে তার লাশ কবর স্থানে পৌঁছানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।

পাটিতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সত্তার মাতবর বলেন, জৈষ্ঠ আষাঢ় মাসে আমরা এ রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতে পাড়িনা। বৃষ্টি হলে ফরজ তলোপ করে কাপড় উচু করে যাতায়াত করতে হয়। তাই আমাদের দাবী এ গ্রামীণ কাঁচা সড়কটিতে ইটের সলিং করে দিলে অন্ততপক্ষে হাটা চলা করা যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী দ্রুত আমাদের এলাকার কাঁচা সড়কটি ইটের সলিং দিয়ে ৭ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা করে দেয়ার আহবান জানান। তারা আরও বলেন, এ রাস্তাটা দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, এমনকি কেউ মারা গেলে কবর স্থানে নেয়া লাগে এ সড়ক দিয়ে।

ঘোষপুর ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল গ্রাম হবে শহর। তবে অনেক এলাকার চিত্র পরিবর্তন হয়ে শহরে পরিনিত হয়েছে। অথচ ঘোষপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ও সাতৈর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ৫০ বছরের গ্রামীণ একটি সড়কে ইটের ছোঁয়া লাগেনি। বৃষ্টি হলে এ রাস্তায় হাটু পর্যন্ত গেড়ে যায়। যাতায়াতের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

দুর্বিষহ জীনন যাপন করছে ৬ গ্রামের লোকজন।

সাতৈর ইউপি সদস্য সৈয়দ শফিকুল আজম মাকুল বলেন, বোতনের মাঠের অধিকাংশের ফসল এ রাস্তা দিয়ে আনা নেয়া করে থাকে। এ এলাকাটা কৃষিসমৃদ্ধের উপর নির্ভর। বৃষ্টিতে রাস্তায় কাঁদা হলে কৃষকেরা ধান পাট বা অন্য ফসল বিক্রি করতে হাট বাজারে নিতে পাড়ে না। তাই সংশ্লিষ্টের কাছে আমার আকুল আবেদন এ রাস্তাটা দ্রুত গতিতে ইটের সলিং করে দেয়ার আহবান জানাই।

 

 

ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন নবাব মিঞা বলেন, আমি গোরস্থান থেকে ইউনুস শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৯ মিটার কাঁচা গ্রামীণ সড়কে ইটের সলিংয়ের কাজ করেছি। বাকি আছে বাকু মেম্বরারে বাড়ি সংলগ্ন মসজিদ পর্যন্ত। যেহেতু সেখান দিয়ে একাধিক গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে। আমরা আগামীতে কোন বরাদ্দ পেলে বাকি অংশে ইটের সলিং রাস্তা করে দিব।

সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখবো। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলে বা জনদুর্ভোগের কারণ হলে ইটের সলিং করে দেয়া হবে।


প্রিন্ট