ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের ফুলবাড়ী উপজেলায় মতবিনিময় সভা Logo তানোরে যাতায়াতের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ Logo মাগুরাতে এসএমসি’র পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন Logo অর্থনৈতিক শুমারি উপলক্ষে স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo প্রত্যন্ত গ্রামে নারী ফুটবল প্রীতি ম্যাচ উপভোগ করলেন হাজারো দর্শক Logo বাঘায় উপজেলা শুমারি স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা Logo ফরিদপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নওগাঁর আত্রাইয়ে রসুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে অন্যরকম ঈদ

কদিন আগেও যারা ছিলেন ভূমিহীন, দিন শেষে পরিবার নিয়ে রাত কাটত অন্যের আশ্রয়ে সেই মানুষ গুলো পেয়েছেন জমিসহ নতুন বাড়ি। সেখানে ঈদ উৎযাপনে মেতেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা নতুন এ ঠিকানা তাদের জীবনে এনে দিয়েছে পূর্ণতা।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃত সরকারি খাস জমিতে সারি বদ্ধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল কলনী। সেখানে বসবাস করছেন ৭৩ টি পরিবার। প্রত্যেক পরিবারের জন্য রয়েছে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর। রান্না ঘরসহ রয়েছে সেনেটারি সুবিধা,আছে বারান্দাও। সে বাড়িতে তারা ঈদ উৎযাপন করছেন তাইতো ঈদ শেষ হয়ে গেলেও আনন্দের রেশ এখনো কাটছে না তাদের। কাছের এবং দূরের আত্মীয় স্বজনরা নতুন ঠিকানায় আসছেন ঈদের দাওয়াত খেতে। পরিবারের সদস্যরা কাজে না গিয়ে আপনজন দের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সারির একটি ঘরের বাসিন্দা আলেয়া বেগম (৫০) নাতি তিন চার বছরের মিশুকে নিয়ে এ ঘরে বাস করেন। নাতি আজমল জীবিকার জন্য স্ত্রী সহ চট্টগ্রামে আছেন। বিকেলে ঘরের বারান্দায় ঝোলানো দোলনায় মিশুকে বসিয়ে আদর করে দোল দিচ্ছেন আলেয়া বেগম তিনি বলেন জীবনভর অন্যের আশ্রয়ে কেটেছে। শেষ জীবনে এসে নিজের স্হায়ী ঠিকানা খুজে পেয়েছি এ সুখের অনুভুতি প্রকাশ করার মতো নয়। সামনে অগ্রসর হতে দেখা মিলে রাশেদ মিয়ার সঙ্গে।

বাড়ির আঙিনায় বসে স্নিগ্ধ  বিকেল উপভোগ করছেন রাশেদের পরিবার। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় এক ছেলে মিয়েকে নিয়ে খেলা করছে। কাজে না গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগে বাড়িতে আছে রাশেদ মিয়া। রাশেদ মিয়া বলেন আমাদের নিজস্ব জমি বা ঘর কিছুই ছিল না। মামা শশুরের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘরহীন, ভূমিহীন মানুষদের কথা চিন্তা করে আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে আমাদের মতো ছিন্নমূল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে। এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। একই চিত্র আশ্রয় কেন্দ্র জুড়ে। সবার চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক। তবে ছোট খাট কিছু আভিযোগও আছে তাদের।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা ফরিদা বেগম জানান আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ব্যবহৃত পানি প্রবাহের সমস্যা ও ময়লা আবর্জনা রাখার জন্য নির্ধারিত ডাস্টবিননের কোনো ব্যবস্তা নেই।   বিষয়টি আমাদের বেশ বেকায়দায় ফেলেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা প্রিয়া রাণী রমা রাণী জানান দুই বছর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হলেও সেখান কার ছুটো খাটো এসব সমস্যা রয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখাইরুল ইসলাম জানান সরকারি ভাবে যেসব সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে এসব ব্যাপারে কোনো কিছুর সমস্যা সৃষ্টি হলে পরিদর্শন সাপেক্ষে যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেমন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ডাস্টবিনের ব্যবস্হা তৈরির জন্য ফাকা জায়গা রয়েছে। ভবিষ্যতে সেখান দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ডাস্টবিনের ব্যবস্হা স্হায়ীকরণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

error: Content is protected !!

নওগাঁর আত্রাইয়ে রসুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে অন্যরকম ঈদ

আপডেট টাইম : ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
মোঃ আব্দুল জব্বার ফারুক আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

কদিন আগেও যারা ছিলেন ভূমিহীন, দিন শেষে পরিবার নিয়ে রাত কাটত অন্যের আশ্রয়ে সেই মানুষ গুলো পেয়েছেন জমিসহ নতুন বাড়ি। সেখানে ঈদ উৎযাপনে মেতেছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা নতুন এ ঠিকানা তাদের জীবনে এনে দিয়েছে পূর্ণতা।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় বিস্তৃত সরকারি খাস জমিতে সারি বদ্ধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল কলনী। সেখানে বসবাস করছেন ৭৩ টি পরিবার। প্রত্যেক পরিবারের জন্য রয়েছে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর। রান্না ঘরসহ রয়েছে সেনেটারি সুবিধা,আছে বারান্দাও। সে বাড়িতে তারা ঈদ উৎযাপন করছেন তাইতো ঈদ শেষ হয়ে গেলেও আনন্দের রেশ এখনো কাটছে না তাদের। কাছের এবং দূরের আত্মীয় স্বজনরা নতুন ঠিকানায় আসছেন ঈদের দাওয়াত খেতে। পরিবারের সদস্যরা কাজে না গিয়ে আপনজন দের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পটির দ্বিতীয় সারির একটি ঘরের বাসিন্দা আলেয়া বেগম (৫০) নাতি তিন চার বছরের মিশুকে নিয়ে এ ঘরে বাস করেন। নাতি আজমল জীবিকার জন্য স্ত্রী সহ চট্টগ্রামে আছেন। বিকেলে ঘরের বারান্দায় ঝোলানো দোলনায় মিশুকে বসিয়ে আদর করে দোল দিচ্ছেন আলেয়া বেগম তিনি বলেন জীবনভর অন্যের আশ্রয়ে কেটেছে। শেষ জীবনে এসে নিজের স্হায়ী ঠিকানা খুজে পেয়েছি এ সুখের অনুভুতি প্রকাশ করার মতো নয়। সামনে অগ্রসর হতে দেখা মিলে রাশেদ মিয়ার সঙ্গে।

বাড়ির আঙিনায় বসে স্নিগ্ধ  বিকেল উপভোগ করছেন রাশেদের পরিবার। বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় এক ছেলে মিয়েকে নিয়ে খেলা করছে। কাজে না গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগে বাড়িতে আছে রাশেদ মিয়া। রাশেদ মিয়া বলেন আমাদের নিজস্ব জমি বা ঘর কিছুই ছিল না। মামা শশুরের বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ঘরহীন, ভূমিহীন মানুষদের কথা চিন্তা করে আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে আমাদের মতো ছিন্নমূল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে। এ ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। একই চিত্র আশ্রয় কেন্দ্র জুড়ে। সবার চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক। তবে ছোট খাট কিছু আভিযোগও আছে তাদের।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা ফরিদা বেগম জানান আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ব্যবহৃত পানি প্রবাহের সমস্যা ও ময়লা আবর্জনা রাখার জন্য নির্ধারিত ডাস্টবিননের কোনো ব্যবস্তা নেই।   বিষয়টি আমাদের বেশ বেকায়দায় ফেলেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা প্রিয়া রাণী রমা রাণী জানান দুই বছর আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হলেও সেখান কার ছুটো খাটো এসব সমস্যা রয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে আত্রাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখাইরুল ইসলাম জানান সরকারি ভাবে যেসব সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে এসব ব্যাপারে কোনো কিছুর সমস্যা সৃষ্টি হলে পরিদর্শন সাপেক্ষে যাবতীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যেমন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ডাস্টবিনের ব্যবস্হা তৈরির জন্য ফাকা জায়গা রয়েছে। ভবিষ্যতে সেখান দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও ডাস্টবিনের ব্যবস্হা স্হায়ীকরণ করা হবে।


প্রিন্ট