গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, প্রস্তাবিত স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের অধিক বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর পর্যন্ত চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে আজীবন পেনশন-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকেরাও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পেনশনারের নমিনি পেনশনারের ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন।
অর্থমন্ত্রী জানান, চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছরের চাঁদা প্রদান করার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর বিপরীতে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া, মাসিক পেনশন বাবদ
প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। পেনশনারদের জন্য পাইলট ভিত্তিতে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক জীবিতাবস্থা যাচাইকরণ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
এদিকে মাসিক বয়স্ক ভাতা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। সেই সঙ্গে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর ভাতাও ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭ লাখ ১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫৮ লাখ ১ হাজার এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা আগে ছিল ২৩ লাখ ৬৫ হাজার। সেটি বাড়িয়ে ২৯ লাখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার প্রাথমিক স্তরে ৫০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ১৫০ টাকা ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।
প্রিন্ট