ফরিদপুরের নগরকান্দায় হাসিনা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ নিজ ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করেছেন ওই নিহত গৃহবধুর বাবা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের বাস্তপট্টি গ্রামের স্বামীর তালাবদ্ধ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধু ওই গ্রামের ফরহাদ মোল্যার স্ত্রী ও ভাঙ্গা উপজেলা মানিকদী-খারদী গ্রামের মোসলেম শেখের মেয়ে। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী।
প্রতিবেশীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফরহাদের বসতঘরের তালা মারা দেখেন। এতে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারা বেড়ার ফাকা দিয়ে দেখেন হাসিনার লাশ মেঝেতে পড়ে আছে। তবে তার স্বামী-সন্তান, শ্বশুর বাড়ির লোকজন কেউ ঘরে নেই। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেন।
নিহত হাসিনার বাবা মোসলেম শেখ অভিযোগ করে বলেন, ১৫ বছর আগে আমার মেয়ে হাসিনাকে ফরহাদের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকে মাঝে মাঝেই ফরহাদ ও তার পরিবার আমার মেয়েটাকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। আমাদের ধারনা ফরহার ও তার পরিবার মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করবো। আমরা এর বিচার চাই।
|
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের মেঝে থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট আসার পর বুঝা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা।
প্রিন্ট