কাতার থেকে আরও ১৫ লাখ টন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার কাতারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জ্বালানি সচিব ড. খায়েরুজ্জামান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির উপমহাব্যবস্থাপক (এলএনজি) প্রকৌশলী আব্দুল মুকিতও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন। মূলত কাতার থেকে এলএনজি আমদানির চুক্তি করতেই এই সফর বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে দোহা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ওই সফরে জ্বালানি নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে কাতারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও এলএনজি আমদানির প্রস্তাব দিলে ইতিবাচক সাড়া দেয় কাতার।
নসরুল হামিদ এর আগে বলেছেন, শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য সরকার কাতার থেকে বিদ্যমান চুক্তির অতিরিক্ত বছরে আরও ১ থেকে ২ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করতে আগ্রহী। এ ব্যাপারে কাতার সরকারের মনোভাব ইতিবাচক।
কাতার থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি করছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১.৮ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি সরবরাহ করে কাতার। চলতি বছর কাতার থেকে ৪০টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। যার মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত ১৪টি কার্গো এসেছে।
কাতারের পাশাপাশি ওমান থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে ২০১৯ সাল থেকে। চুক্তি অনুযায়ী বছরে এক থেকে দেড় মিলিয়ন টন এলএনজি বাংলাদেশে সরবরাহের কথা দেশটির। চলতি বছর ওমান থেকে ১৬টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে পেট্রোবাংলার। এর মধ্যে গত এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচটি কার্গো দেশে এসে পৌঁছেছে। এর বাইরে স্পট মার্কেট বা খোলাবাজার থেকেও সরকার ২০২০ সাল থেকে এলএনজি আমদানি করছে। এখন পর্যন্ত ৩৪ কার্গো এলএনজি কেনা হয়েছে খোলাবাজার থেকে। আরও এলএনজি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
প্রিন্ট