ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তিন সপ্তাহে প্রবাসী আয় এলো ১২ হাজার কোটি টাকা

- রেমিট্যান্স।

চলতি মে মাসে প্রতিদিন ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ডলার বা ৬৪২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় আসছে দেশে। এ মাসের ১৯ দিনে এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। যেটা দিয়ে ভারী হচ্ছিল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু পরের মাস থেকেই কমতে থাকে রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। টানা ছয় মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি। তবে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে এসে আবারও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে।

একই ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে এপ্রিলের শুরুর দিক। তবে মাসের (এপ্রিল) শেষ দিকে আশা জাগিয়েও পড়ে যায় প্রবাহ। পুরো এপ্রিল মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে বেশি এলেও ঈদের পরে কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়বে প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের (মে) ১৯ দিনে মোট ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যো রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯০ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তবে আলোচিত সময়ে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা ছয় মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায় রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে প্রায় ১৭০ কোটি ডলার বা ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার।

জানুয়ারি মাসে এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। আর স্বাধীনতার মাস মার্চ মাসে এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আর সদ্যবিদায়ী মাস এপ্রিলের পুরো সময়ে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে দেশে। আশা করা হচ্ছিল ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলে দুই বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করবে। যেহেতু ঈদুল ফিতর পড়েছিল সে হিসাবে এপ্রিলে ভালো রেমিট্যান্সের আশা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাসটির শুরুতে সেভাবেই আসছিল রেমিট্যান্স। তবে সে আশা ফিকে করে মাসটিতে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে মোট ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১.০৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

তিন সপ্তাহে প্রবাসী আয় এলো ১২ হাজার কোটি টাকা

আপডেট টাইম : ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

চলতি মে মাসে প্রতিদিন ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ডলার বা ৬৪২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় আসছে দেশে। এ মাসের ১৯ দিনে এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। যেটা দিয়ে ভারী হচ্ছিল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু পরের মাস থেকেই কমতে থাকে রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। টানা ছয় মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি। তবে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে এসে আবারও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে।

একই ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে এপ্রিলের শুরুর দিক। তবে মাসের (এপ্রিল) শেষ দিকে আশা জাগিয়েও পড়ে যায় প্রবাহ। পুরো এপ্রিল মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে বেশি এলেও ঈদের পরে কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়বে প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের (মে) ১৯ দিনে মোট ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যো রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯০ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

তবে আলোচিত সময়ে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা ছয় মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায় রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে প্রায় ১৭০ কোটি ডলার বা ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার।

জানুয়ারি মাসে এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। আর স্বাধীনতার মাস মার্চ মাসে এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আর সদ্যবিদায়ী মাস এপ্রিলের পুরো সময়ে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে দেশে। আশা করা হচ্ছিল ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলে দুই বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করবে। যেহেতু ঈদুল ফিতর পড়েছিল সে হিসাবে এপ্রিলে ভালো রেমিট্যান্সের আশা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাসটির শুরুতে সেভাবেই আসছিল রেমিট্যান্স। তবে সে আশা ফিকে করে মাসটিতে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।

এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে মোট ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১.০৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।


প্রিন্ট