চলতি মে মাসে প্রতিদিন ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ডলার বা ৬৪২ কোটি টাকার প্রবাসী আয় আসছে দেশে। এ মাসের ১৯ দিনে এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম মাস জুলাই ও দ্বিতীয় মাস আগস্টে টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। যেটা দিয়ে ভারী হচ্ছিল দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। কিন্তু পরের মাস থেকেই কমতে থাকে রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। টানা ছয় মাস কেটে গেলেও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাতে পারেনি। তবে অর্থবছরের নবম মাস মার্চে এসে আবারও দুই বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে।
একই ধারাবাহিকতায় আসতে থাকে এপ্রিলের শুরুর দিক। তবে মাসের (এপ্রিল) শেষ দিকে আশা জাগিয়েও পড়ে যায় প্রবাহ। পুরো এপ্রিল মাসে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে বেশি এলেও ঈদের পরে কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে আবারও বাড়বে প্রবাসী আয় আসার প্রবাহ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি মাসের (মে) ১৯ দিনে মোট ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যো রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। দুই বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে একটির মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯০ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।
তবে আলোচিত সময়ে ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় দেশে আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। কিন্তু সেপ্টেম্বর থেকে টানা ছয় মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায় রেমিট্যান্স আসার প্রবাহ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে (জুলাই) এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে প্রায় ১৭০ কোটি ডলার বা ১৬৯ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার।
জানুয়ারি মাসে এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার, ফেব্রুয়ারি মাসে আসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। আর স্বাধীনতার মাস মার্চ মাসে এসেছে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আর সদ্যবিদায়ী মাস এপ্রিলের পুরো সময়ে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার এসেছে দেশে। আশা করা হচ্ছিল ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলে দুই বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করবে। যেহেতু ঈদুল ফিতর পড়েছিল সে হিসাবে এপ্রিলে ভালো রেমিট্যান্সের আশা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাসটির শুরুতে সেভাবেই আসছিল রেমিট্যান্স। তবে সে আশা ফিকে করে মাসটিতে আসে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স।
এর আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে মোট ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১.০৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha