মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের খলিশখালী গ্রামের মৃত লুৎফার রহমানের স্ত্রী আমেনা বেগম (৯০) বৃদ্ধাকে বসত বাড়ির জমিতে রাস্তা নিমার্ণের জন্য খুঁটি উঠাতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষ ধাক্কা দিয়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।
সরেজমিনে গত শুক্রবার ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২ টার সময় খলিশাখালী (মধ্যপাড়া) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদের আনাগোনা দেখা যায়।
মৃত লুৎফর রহমান মোল্লার স্ত্রী আমেনা বেগম ও মেজো মেয়ে নাসিমা খাতুন জানান জোরপূর্বক ভাবে আমাদের বসতবাড়ির জমিতে ৫-৬ মাস পূর্ব থেকে সব্দুল মোল্লার আমেরিকা প্রবাসী শাহীন মোল্লার শখ বাপের জমিতে একটা বিলাশ বহুল বাড়ি তৈরি করবে। এজন্য দুলাভাই বশীর আহমেদ ও বোন পারভীন নাহার এবং গ্রামের কিছু লোকজনের সহায়তায় আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের মাটি ফেলে। এই রাস্তাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে আমাদের বাড়িতে শুধু বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম থাকায় সেই সুযোগে নাঈম (৫৭), মুন্না (৩৫), সজিব (৩৬) এবং বশীর জমির সীমানা খুঁটি উঠানোর সময় আমেনা বেগম বাঁধা দিলে তাকে ব্যাপক ভাবে শারীরিক আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়।
নাসিমা খাতুন আরও জানান আমাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশের রাস্তা নিয়ে কয়েকটি শর্ত পূরণ করলে আমরা রাস্তার জন্য তাদের জমি দিয়ে দিবো। শর্তগুলো হলো রাস্তার সীমানা পর্যন্ত পাঁচিল তৈরী করে দিতে হবে, গর্তের মাটি ভরাট, মাঠের ২১ শতক জমির কাগজপত্র ঠিক করে দিতে হবে, বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে হবে এবং রাস্তার সমপরিমাণ ৩ গুণ জমি দিতে হবে।
মৃত আব্দুল আলী মিয়া মোল্লার মেয়ে পারভীন নাহার বলেন আমার ছোট ভাই আমেরিকা প্রবাসী শাহীন; শখ করে একটি বাড়ি ও আমার স্বামী বসীর আহমেদ কেজি স্কুল করার জন্য আমরা নাসিমাদের জমির উপর মাটি ফেলেছি।
এবিষয়ে নাসিমা খাতুন বলেন আমরা আইনের মাধ্যমে এর একটা সুষ্ঠু সঠিক বিচার দাবি জানাই ও এর সমাধান চাই।
প্রিন্ট