অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপির ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থবছরের জিডিপি প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে আগামী অর্থবছরে দেশের পণ্য ও সেবা খাতে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত উৎপাদন বাড়াতে হবে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব কমে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, ভোগ ও চাহিদা অব্যাহত রয়েছে। সামনের বছরে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। মনোযোগ দেওয়া হবে শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপরও। উপরন্তু সরকারি, বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠার কাজের গতি বাড়ানো হবে। এ ছাড়া শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা হবে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস বলছে, এই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০২৩ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গত মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।