ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু Logo লালপুরে বিএনপির মতবিনিময় ও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরে ৭ই ডিসেম্বর কর্মশালা সফল করার লক্ষ্যে ফরিদপুর বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo তানোরে সার পচার, বিতরণে অনিয়ম, হট্টগোল ও মারপিট Logo ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কওমী মাদরাসা ঐক্য পরিষদের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের নৃত্য দল ভারতে সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করে Logo সুন্দরবন প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন Logo বাগাতিপাড়ায় স্ত্রীর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামীর আত্মহত্যা ! Logo কালুখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় জাটকা মাছ জব্দ করে দন্ড
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পণ্য ও সেবার উৎপাদন ৫০ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে

♦ সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর ♦ মনোযোগ দেওয়া হবে শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে ♦ অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও ভোগ বাড়াতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আয়ে গুরুত্ব ♦ শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা হবে

আগামী অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার ৫০ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে। সরকারের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে। বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল সভায় জিডিপির এই সম্ভাব্য আকার প্রাক্কলন করা হয়। একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল্যই হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট)। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এ উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপির ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থবছরের জিডিপি প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে আগামী অর্থবছরে দেশের পণ্য ও সেবা খাতে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত উৎপাদন বাড়াতে হবে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব কমে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, ভোগ ও চাহিদা অব্যাহত রয়েছে। সামনের বছরে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। মনোযোগ দেওয়া হবে শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপরও। উপরন্তু সরকারি, বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠার কাজের গতি বাড়ানো হবে। এ ছাড়া শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা হবে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস বলছে, এই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০২৩ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গত মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।

একইদিন বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি-রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে প্রবৃদ্ধি কমবে বলে আশঙ্কা করছে দাতা সংস্থাগুলো। আইএমএফ বলেছে, চলতি বছর পণ্য আমদানি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমতে পারে; এ ছাড়া পণ্য রপ্তানি কমতে পারে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে আর্থিক মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে যে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়, তাতে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ এবং আমদানি হ্রাস পেয়েছে ৫ শতাংশ পয়েন্ট। ফলে চলতি অর্থবছরে দেশজ উৎপাদন সরকারের প্রাক্কলনের কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করছে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তরা।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বর্তমান সরকার ব্যর্থ হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হয়ে যাবেঃ -মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু

error: Content is protected !!

পণ্য ও সেবার উৎপাদন ৫০ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে

আপডেট টাইম : ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :
আগামী অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার ৫০ লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে। সরকারের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৫০ লাখ ৬ হাজার ৬৭২ কোটি টাকার জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে। বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল সভায় জিডিপির এই সম্ভাব্য আকার প্রাক্কলন করা হয়। একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামষ্টিক মূল্যই হচ্ছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি বা গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট)। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এ উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হচ্ছে জিডিপির প্রবৃদ্ধি।

অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি অর্থবছরে প্রাক্কলিত জিডিপির ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থবছরের জিডিপি প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে আগামী অর্থবছরে দেশের পণ্য ও সেবা খাতে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত উৎপাদন বাড়াতে হবে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব কমে এসেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, ভোগ ও চাহিদা অব্যাহত রয়েছে। সামনের বছরে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। মনোযোগ দেওয়া হবে শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপরও। উপরন্তু সরকারি, বেসরকারি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠার কাজের গতি বাড়ানো হবে। এ ছাড়া শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা হবে।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস বলছে, এই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়ে বলেছে, চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে সাড়ে ৫ শতাংশ। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০২৩ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে গত মঙ্গলবার এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৪ এপ্রিল বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছর বাংলাদেশের জিডিপি ৫ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে।

একইদিন বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি-রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে প্রবৃদ্ধি কমবে বলে আশঙ্কা করছে দাতা সংস্থাগুলো। আইএমএফ বলেছে, চলতি বছর পণ্য আমদানি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমতে পারে; এ ছাড়া পণ্য রপ্তানি কমতে পারে ২ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে আর্থিক মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে যে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়, তাতে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ এবং আমদানি হ্রাস পেয়েছে ৫ শতাংশ পয়েন্ট। ফলে চলতি অর্থবছরে দেশজ উৎপাদন সরকারের প্রাক্কলনের কাছাকাছি থাকবে বলে মনে করছে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তরা।

প্রিন্ট