মুকসুদপুর উপজেলায় প্রেমের বিয়ের দুই মাসের মধ্যে বলি হলেন শান্তা (২২)। মামলা সূত্রে জানাযায়, মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ওহিদ ফকিরের গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্তা ইসলামের সাথে একই উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমান শেখের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (২৮) এর দীর্ঘদিনের প্রেমকে স্বীকৃতি দিয়ে পারিবারিক ভাবে গত দুই মাস পূর্বে বিবাহ দেন।
সিরাজুল ইসলাম মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি পেয়ে বাড়িতে এসেছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শান্তাকে নির্মানাধীন বসতঘরের গোসলখানায় নাইলনের জালে ফাঁস দিয়ে ঝুলানো দেখে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী ওহিদ ফকির জানান, গতকাল সন্ধা ৭টায় আমার মেয়ের জামাই আমাকে ফোন করে বলে শান্তা গুরুতর অসুস্থ দ্রুত মুকসুদপুর হাসপাতালে আসেন। আমি হাসপাতালে পৌঁছে দেখি ট্রলিতে আমার মেয়ের লাশ। কি হয়েছিল জানতে চাইলে গলায় ফাঁস দিয়েছিলো বলে জানায়।
আমার উপস্থিতি টের পেয়ে জামাই সহ অনেকে পালিয়ে যায়। ওরা আমার মেয়েকে নিজেরা হত্যা করে নাইলনের জালে ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছিলো। মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বক্কার মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা সংবাদ পেলে হাসপাতালে গিয়ে লাশ পাই।
ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জে প্রেরন করেছি, রিপোর্ট পেলে জানাযাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এ ব্যাপারে মেয়ের শশুর হাফিজুর রহমান এবং চাচা শশুর মফিজুর শেখ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রিন্ট