শেখ হাসিনা সরকারি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোঁজখবর নিতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দলের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় জনসংযোগ এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে বলেছেন।
যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে উপস্থিত ছিলেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্যাহ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।
সভার এক পর্যায়ে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের ফোনে ভিডিও কল দিয়ে নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রায় ১০ মিনিট ভিডিও কলে কথা বলেন এবং সবার নিরাপদ ঈদ যাত্রার জন্য শুভ কামনা জানান।
দলের নেতারা জানান, সরকারের অসংখ্য প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সব পর্যায়ের জনগণকে নানা ধরনের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এই ভাতাগুলো উপকারভোগীদের কাছে সরাসরি যাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না সে বিষয়েও সরেজমিনে খোঁজখবর নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি আবারও অগ্নিসন্ত্রাসের পাঁয়তারা করছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি কাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপতৎপরতা আবারও শুরু হয়েছে। পর পর কয়েক জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা তো অগ্নিসন্ত্রাসের মতোই। মার্কেটে কি আগুন লেগেছে নাকি লাগানো হয়েছে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মার্কেটগুলোতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে। গণতন্ত্র, সংবিধান ও দেশের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে শেখ হাসিনা আপসহীন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অগ্নিসন্ত্রাসের কালো ছায়ার আশঙ্কা আছে। তেরো-চৌদ্দ-পনেরো সালের মতো পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। দেশব্যাপী বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মানববন্ধনে জনসমর্থন আদায় করতে পারেনি বিএনপি। জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কেও কোনো সমস্যা নেই। কারো ফরমায়েশি গণতন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি ইইউ, মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন হবে সংবিধানমাফিক, পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। সরকার এখানে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।
প্রিন্ট