চীনের তৈরি থ্রি গোর্জ ড্যাম, এই সেই বাঁধ যেটি পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রায় ৬০ মাইক্রোসেকেন্ড কমিয়ে দিয়েছে। পার্বত্য উপত্যকায় তৈরি এই বাঁধের উচ্চতা প্রায় ১৮৫ মিটার।
আর জলতলের উচ্চতা ১৭৫ মিটার। তবে শুধু বাঁধ স্থাপন করলেই তো হয় না! দরকার হয় বিশাল জলাধারের। কিন্তু সংকীর্ণ গিরিসংকটের মধ্যে তেমন ব্যবস্থা কোথায়? ফলত, কৃত্রিম জলাধার তৈরির পন্থাকেই বেছে নিয়েছিলেন চীনের প্রযুক্তিবিদরা।
৬৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১.২ কিলোমিটার সেই চওড়া সেই জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ৩৯.৩ ঘন কিলোমটার। আর এই পরিমাণ জলের ভার প্রায় ৪২০০ কোটি টন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এত উচ্চতায় এই বিপুল পরিমাণ
ভরের সংরক্ষণই দায়ী পৃথিবীর ভারসাম্য বিঘ্নিত করার জন্য। পদার্থবিদ্যার সূত্র অনুযায়ী, ঘূর্ণায়মান কোনো পদার্থের দূরত্ব তার অক্ষ থেকে যত বেশি হবে বাড়বে তার জড়তা ভ্রামক বা মোমেন্ট অফ ইনারসিয়া। সেই ঘটনাই ঘটে চলেছে থ্রি গোর্জেস ড্যামের ক্ষেত্রে।
সংরক্ষিত এই জলাধারের কারণে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর জড়তা ভ্রামক। তার ফলে কমছে কৌণিক গতি। বেড়ে যাচ্ছে দিনের দৈর্ঘ্য। আর সেই দৈনিক পরিবর্তনের পরিমাণ ০.০৬ মাইক্রোসেকেন্ড। তবে শুধু দিনের দৈর্ঘ্যই নয়, এই ড্যামের কারণে পৃথিবীর মেরুর অবস্থানও সরে গেছে ০.৮ ইঞ্চি। লন্ডন, কান, অক্সফোর্ড সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও নাসার খ্যাতনামা পদার্থবিদদের পৃথক পৃথক গবেষণায় উঠে এসেছে একই তথ্য। যদিও এই পরিবর্তন সামান্যই।
প্রিন্ট