ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কাশিয়ানীতে ভুয়া প্রত্যয়ন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা Logo পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে জেলা পুলিশের সেহেরী বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo ফরিদপুরের ‌রথ খোলা পতিতালয় থেকে উদ্ধার হল দুই তরুণীঃ পাচার চক্রের নারী পারু বেগমকে আটক করেছে পুলিশ Logo ঈশ্বরদীতে কোকেন ব্যবসায়ী আটক Logo নতুন করে পান বরজ নির্মাণ শুরু করেছেন পানচাষীরা Logo মৌসুমে আয় ১০ লাখ টাকাঃ স্ট্রবেরি চাষে সফল পাবনার কৃষক নজরুল ইসলাম Logo বালিয়াকান্দিতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও সন্তানকে মারপিট Logo পাংশায় পুলিশের অভিযানে ১কেজি গাঁজাসহ মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার Logo মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজ সহ দুই যুবকের মৃত্যু Logo দৌলতপুরের পদ্মার চর কৃষকের স্বপ্নের সমাহার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

টিকটক দেখছেন ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন দুই নেতা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষ। বিছানায় শুয়ে মোবাইলে টিকটক দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। আর তার পায়ের দু’পাশে বসে পা টিপে দিচ্ছেন সংগঠনটির দুই নেতা। এমন একটি ছবি আজ সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগ সভাপতির পা টিপে দেওয়া দুই নেতার একজন শামীম আজাদ ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। আরেকজন সংগঠনের উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম। দুজনই রেজাউল হকের নেতৃত্বে থাকা চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসির অনুসারী।

ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষে তোলা। উক্ত কক্ষ তিন আসনের হলেও রেজাউল হক একাই দখল করে থাকছেন।

রেজাউল হক প্রায় ১৭ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হলেও তিনি ২০১০ সালে স্নাতক এবং ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানসহ হল দখলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

পা টিপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগে করোনাকালীন সময়ের। তখন ইউরিক অ্যাসিডের কারণে আমার পা ফুলে গিয়েছিল। এ সময় আমার জুনিয়ররা সেবা করেছে। জুনিয়ররা অসুস্থ হলে আমিও সেবা করি।

তবে করোনাকালীন সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে হলে অবস্থান করেছিলেন জানতে চাইলে রেজাউল দাবি করেন, বছরখানেক আগের ছবি বলে তিনি সঠিক তারিখ মনে করতে পারছেন না।

উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রেজাউল হক রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন বলে আমরা তার সেবা করেছি। তিনি আমাদের কোনো জোর করেনি।

তিনি আরও বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগের। আবাসিক হলে কেউ অসুস্থ হলে জুনিয়ররা পরিবারের মতো এরকম সেবা করে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে শফিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কাশিয়ানীতে ভুয়া প্রত্যয়ন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা

error: Content is protected !!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

টিকটক দেখছেন ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন দুই নেতা

আপডেট টাইম : ০৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষ। বিছানায় শুয়ে মোবাইলে টিকটক দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। আর তার পায়ের দু’পাশে বসে পা টিপে দিচ্ছেন সংগঠনটির দুই নেতা। এমন একটি ছবি আজ সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগ সভাপতির পা টিপে দেওয়া দুই নেতার একজন শামীম আজাদ ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। আরেকজন সংগঠনের উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম। দুজনই রেজাউল হকের নেতৃত্বে থাকা চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসির অনুসারী।

ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষে তোলা। উক্ত কক্ষ তিন আসনের হলেও রেজাউল হক একাই দখল করে থাকছেন।

রেজাউল হক প্রায় ১৭ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হলেও তিনি ২০১০ সালে স্নাতক এবং ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানসহ হল দখলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

পা টিপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগে করোনাকালীন সময়ের। তখন ইউরিক অ্যাসিডের কারণে আমার পা ফুলে গিয়েছিল। এ সময় আমার জুনিয়ররা সেবা করেছে। জুনিয়ররা অসুস্থ হলে আমিও সেবা করি।

তবে করোনাকালীন সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে হলে অবস্থান করেছিলেন জানতে চাইলে রেজাউল দাবি করেন, বছরখানেক আগের ছবি বলে তিনি সঠিক তারিখ মনে করতে পারছেন না।

উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রেজাউল হক রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন বলে আমরা তার সেবা করেছি। তিনি আমাদের কোনো জোর করেনি।

তিনি আরও বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগের। আবাসিক হলে কেউ অসুস্থ হলে জুনিয়ররা পরিবারের মতো এরকম সেবা করে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে শফিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।