ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায় Logo তানোরের নারায়নপুর স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান Logo বাঘায় গলা কেটে হত্যা, নিহতের ভাইরা ভাই রায়হান গ্রেপ্তার Logo দামের উত্তাপে ইলিশ এখন ছুঁয়ে দেখতেও ভয় Logo গোপালগঞ্জে দূর্নীতি ও প্রতারণা করা সেই ত্রাণ কর্মকর্তার তদন্ত শুরু Logo কুষ্টিয়ায় জেল পলাতক আসামি রুবেল গ্রেফতার Logo ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা Logo আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবসহ সেবাদান প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়ালেন আদিত্য ফাউন্ডেশন Logo ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শামীম তালুকদার গ্রেপ্তার Logo এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

টিকটক দেখছেন ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন দুই নেতা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষ। বিছানায় শুয়ে মোবাইলে টিকটক দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। আর তার পায়ের দু’পাশে বসে পা টিপে দিচ্ছেন সংগঠনটির দুই নেতা। এমন একটি ছবি আজ সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগ সভাপতির পা টিপে দেওয়া দুই নেতার একজন শামীম আজাদ ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। আরেকজন সংগঠনের উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম। দুজনই রেজাউল হকের নেতৃত্বে থাকা চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসির অনুসারী।

ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষে তোলা। উক্ত কক্ষ তিন আসনের হলেও রেজাউল হক একাই দখল করে থাকছেন।

রেজাউল হক প্রায় ১৭ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হলেও তিনি ২০১০ সালে স্নাতক এবং ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানসহ হল দখলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

পা টিপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগে করোনাকালীন সময়ের। তখন ইউরিক অ্যাসিডের কারণে আমার পা ফুলে গিয়েছিল। এ সময় আমার জুনিয়ররা সেবা করেছে। জুনিয়ররা অসুস্থ হলে আমিও সেবা করি।

তবে করোনাকালীন সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে হলে অবস্থান করেছিলেন জানতে চাইলে রেজাউল দাবি করেন, বছরখানেক আগের ছবি বলে তিনি সঠিক তারিখ মনে করতে পারছেন না।

উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রেজাউল হক রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন বলে আমরা তার সেবা করেছি। তিনি আমাদের কোনো জোর করেনি।

তিনি আরও বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগের। আবাসিক হলে কেউ অসুস্থ হলে জুনিয়ররা পরিবারের মতো এরকম সেবা করে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে শফিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বালিয়াকান্দির ‘উকুন খোটা’ স্কুল এখন দেশসেরা হওয়ার অপেক্ষায়

error: Content is protected !!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

টিকটক দেখছেন ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন দুই নেতা

আপডেট টাইম : ০৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা ডেস্ক :

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষ। বিছানায় শুয়ে মোবাইলে টিকটক দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল। আর তার পায়ের দু’পাশে বসে পা টিপে দিচ্ছেন সংগঠনটির দুই নেতা। এমন একটি ছবি আজ সোমবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

চবি ছাত্রলীগ সভাপতির পা টিপে দেওয়া দুই নেতার একজন শামীম আজাদ ছাত্রলীগের উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক। আরেকজন সংগঠনের উপক্রীড়া সম্পাদক শফিউল ইসলাম। দুজনই রেজাউল হকের নেতৃত্বে থাকা চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসির অনুসারী।

ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছবিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের ৩১১ নম্বর কক্ষে তোলা। উক্ত কক্ষ তিন আসনের হলেও রেজাউল হক একাই দখল করে থাকছেন।

রেজাউল হক প্রায় ১৭ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হলেও তিনি ২০১০ সালে স্নাতক এবং ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ছাত্রত্ব না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে অবস্থানসহ হল দখলেরও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

পা টিপানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হক বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগে করোনাকালীন সময়ের। তখন ইউরিক অ্যাসিডের কারণে আমার পা ফুলে গিয়েছিল। এ সময় আমার জুনিয়ররা সেবা করেছে। জুনিয়ররা অসুস্থ হলে আমিও সেবা করি।

তবে করোনাকালীন সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা অবস্থায় কীভাবে হলে অবস্থান করেছিলেন জানতে চাইলে রেজাউল দাবি করেন, বছরখানেক আগের ছবি বলে তিনি সঠিক তারিখ মনে করতে পারছেন না।

উপকর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আজাদ বলেন, রেজাউল হক রুবেল ভাই অসুস্থ ছিলেন বলে আমরা তার সেবা করেছি। তিনি আমাদের কোনো জোর করেনি।

তিনি আরও বলেন, ছবিটা প্রায় দেড় বছর আগের। আবাসিক হলে কেউ অসুস্থ হলে জুনিয়ররা পরিবারের মতো এরকম সেবা করে থাকে।

এ বিষয়ে জানতে শফিউল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


প্রিন্ট