আজ (২৯ ডিসেম্বর ২০২২) আলফাডাঙ্গা উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র একটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিজয় লাভ করেছে। পৌরসভাসহ বাকি দু’টি ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে এ ভোটের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এ নির্বাচনে মেয়র পদে মো. আলী আকসাদ ঝন্টু নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ৪৯৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সদ্য সাবেক মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩৬৬০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
অপরদিকে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটিতে নৌকার প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ও অপর দুটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন বুলবুল নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান চশমা প্রতীক নিয়ে ১৮৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
বুড়াইচ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল ওহাব মিয়া আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৮৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনোনীত মো. আব্দুল আলীম খান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩১৮৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন।
গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মো. সাইফুল খান চশমা প্রতীক নিয়ে ৫২৭৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ইনামুল হক নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬৭১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
আলফাডাঙ্গা এ নির্বাচনে ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন । তাদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সঠিক ভাবে জনপ্রতিনিধি বা রাজনীতিবীদকে না দেয়ার খেসারত হিসেবে নৌকা প্রতীকের পরাজয় গুনতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
অনেক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দিলে প্রতীকের অসম্মান হয়। ফরিদপুর-১ আসনে বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোতে আলফাডাঙ্গা আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে সকলের কাছে পরিচত ছিল। তবে এ নির্বাচনে পরাজয়ে ভোট ব্যাংক শূন্য বলে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনে হেরে যাওয়া নেতা-কর্মীরা। এতে তারা অনেকটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন।
প্রিন্ট