রাজবাড়ী জেলার পাংশার বিজ্ঞানমনস্ক কবি ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ শরীফ মোহাম্মাদ কায়কোবাদ চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ভারতের কয়েকটি সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ও জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ীসহ দর্শনীয় স্থানসমূহ ভ্রমণ করেন।
তার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার উপর শুক্রবার ৪ নভেম্বর বিকেলে পাংশা সাহিত্য উন্নয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক মনোজ্ঞ সাহিত্য আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
পাংশা সাহিত্য উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি মুহম্মদ ফিরোজ হায়দারের সভাপতিত্বে এবং সাহিত্য উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. মোক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভ্রমণ কাহিনীর বর্ণনা করেন বিজ্ঞানমনস্ক কবি ও লেখক অধ্যক্ষ শরীফ মোহাম্মাদ কায়কোবাদ। তিনি শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ও জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ীসহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত দর্শনীয় স্থানসমূহের মনমুগ্ধকর স্মৃতিচারণ করেন।
বনগাঁ থেকে কলকাতার শিয়ালদহ হয়ে শান্তিনিকেতন ভ্রমণ এবং ফিরতিপথে শান্তিনিকেতন হয়ে হাওড়া স্টেশনে আগমনের কিছু কষ্ট ও আনন্দের অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেনের মধ্যে কাঠের আসনে বসে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতার হাস্যোজ্জল বর্ণনা দেন অধ্যক্ষ শরীফ কায়কোবাদ। শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে দুই বাংলার বিশেষ পার্থক্য রয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি। সাহিত্য চেতনা বিকশিত করার ক্ষেত্রে দুই বাংলার লেখক কবি সাহিত্যিকদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন গড়ে তোলার গুরুত্বারোপ করেন অধ্যক্ষ শরীফ মোহাম্মাদ কায়কোবাদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পাংশা সরকারী কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান হাজারী আবুল হাসিম, পাংশা সরকারী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সহিদুর রহমান ও শেখ মুহাম্মদ সবুর উদ্দিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ কায়কোবাদের ভ্রমণ কাহিনীর উপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি এবাদত আলী শেখ, সরদার আবু জালাল, ও পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তা মামুন ওয়াদুদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কবি মোল্লা মাজেদ, সাহেদ বিপ্লব, শম্পা রহমান, সুমী খন্দকার, সাকী মাহমুদ, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, বিকর্ণ কুমার মন্ডল, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও খন্দকার মেশকাতুল আবরার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট