দেশকে স্বাধীন করতে জীবন বাজি রেখে যারা যুদ্ধ করেছিলেন তাদেরকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান (মুক্তিযোদ্ধা) হিসেবে মূল্যায়ন করা হওয়াটাই প্রত্যাশিত।
স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি ও সম্মান না পাওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রমণী কান্ত দাস মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড গঙ্গারামপুর গ্রামের প্রায়ত তারাপদ দত্তর সহধর্মীণি রমণী কান্ত দাস বর্তমান বয়স ১০৬ বছর।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তিনি এখনো সেই স্মৃতি মনে করে কাঁদছেন আর আবেগে ভেসে ওঠে বলছেন স্বাধীন বাংলা পেয়েছি আমরা আর কি পাবো।
ভারত ইয়ুথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন তিনি সেখান থেকে ফিরে এসে মধুমতি নদীর ধারে রাজাপুর গ্রামে আশ্রয় গ্রহণ করে দেশকে হানাদারমুক্ত করার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া মুক্তি যোদ্ধা দের সহযোগী যোদ্ধা হিসাবে নানা সময় শুকনা খাবার পানি হাতে নিয়ে পাশে থেকেছেন সব সময়।
একাধিক যুদ্ধে তিনি বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।যুদ্ধকালীন সময়ে মা রমণী কান্ত দাসের পাশে দুই সহযোদ্ধা ছিলেন নিজ বড় ছেলে মনোরঞ্জন দত্ত ,ও ছোট্ট ছেলে নিরাঞ্জন দত্ত।তারা দুজনই মায়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে সাহায্য করেছেন মাকে।
মনোরঞ্জন দত্ত বয়স ৭০ বছর এর কাছাকাছি ও ছোট্ট ছেলে নিরাঞ্জন দত্ত ৬৬বছর। কিন্তু স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দী পর দীর্ঘদিন অনেক চেষ্টা তদবির করেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম লিপিবদ্ধ হয়নি। তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি না হওয়ায় তিনি বঞ্চিত রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারছেন না তিনি।
নিজগ্রামের মানুষসহ ইউনিয়নের সকল শ্রেণীপেশার জনসাধারণের মুখে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি মিলেনি তবে শেষ সময়ে অন্তত কোন সন্মানী পদক যেন তাকে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার ৫১ বছরেও অলস সময়ে ঝাপসা চোখে এখন শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রোমন্থন করেন বৃদ্ধ নারী রমণী কান্ত দাস।
প্রিন্ট