ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

মাগুরায় মুসলিম এইড বাংলাদেশ এনজিওর আর্থিক সহযোগিতায় আমিরন বেগম এখন  সফল উদ্যোক্তা

মাগুরায় মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় আমিরন বেগম এখন সাবলম্বী নারী উদ্যোক্তা।

আজ বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩০ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াদুদ মুড়ি মিল পরিদর্শন করেন মুসলিম এইড বাংলাদেশ এনজিও। এসময় মুড়ির মিল পরিদর্শন করেন, মুসলিম এইড বাংলাদেশ আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল হাসান ও মাগুরা জেলা শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

ওয়াদুদ মুড়ি মিলের প্রোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস বলেন, আমি ১৯৭১ সালের পর থেকে হাট-বাজার ও গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে মাথায় করে তেল ব্যবসা করতাম। এরপর ১৯৯৪-৯৫ সালে এসে আমার স্ত্রী আমিরন বেগমের উৎসাহে মাটির খোলাতে মুড়ি ভেজে হাট-বাজারে বিক্রি শুরু করি। ২০০৫ সালে আমার স্ত্রী আমিরন বেগম মাগুরা মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর ম্যানেজার সিরাজুল ইসলামের সাথে পরিচিত হয়।

মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর আর্থিক লোনের সহায়তায় আজ আমরা শূন্য থেকে এই ওয়াদুদ মুড়ির মিল চালু করেছি। বর্তমানে আমাদের এই মিলে ৫ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আমিরন বেগম আরও বলেন, মুসলিম এইড বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১৭ বছরে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা লোন দিয়েছে। ওয়াদুদ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে রাসায়নিক দ্রব্য না ব্যবহার করে, সম্পূর্ণ মানসম্মত উপায়ে শুধুমাত্র লবন দিয়ে  মুড়ি উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৫০০ কেজি চাল থেকে ৪৪০ কেজি মুড়ি উৎপাদন করা হয়।

আর এই মুড়ি মাগুরা শহর, শত্রুজিৎপুর, আলমখালি ও হাটগোপালপুর মার্কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর বাজারে এই মুড়ি সরবরাহ থেকে প্রতিমাসে সব খরচ বাবদ, ৩০ হাজার টাকার মতো আয় থাকে। আমিরন বেগম আরও বলেন, ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ৯ শতক জমিসহ বাড়ি ও মিল করেছি। আসলে সব সম্ভব হয়েছে মাগুরা মুসলিম এইড বাংলাদেশ এনজিও পাশে ছিলো বলে। আমিরন বেগম এর ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে সুখের সংসার।

৩ মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন আর বর্তমানে ছোট মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে ও ছেলে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। তিনি মুড়ি উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়িতে ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন করছেন। এ বিষয়ে মুসলিম এইড বাংলাদেশ আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল হাসান ও মাগুরা শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াদুদ বিশ্বাস ও আমিরন বেগম একসময় প্রচুর কষ্টের জীবন পার করেছেন। মাগুরা মুসলিম এইড বাংলাদেশ তার পাশে থেকে ২০০৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আথিক লোন দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য সহোযোগিতা করে যাচ্ছেন।

আর তিনি  মুসলিম এইড বাংলাদেশ মাগুরা জেলার একজন সফল উদ্যোক্তা। ভবিষ্যতে মুসলিম এইড বাংলাদেশ (এনজিও) সবসময় তাদের ব্যবসার উন্নয়নের জন্য সর্বদাই পাশে থাকবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

মাগুরায় মুসলিম এইড বাংলাদেশ এনজিওর আর্থিক সহযোগিতায় আমিরন বেগম এখন  সফল উদ্যোক্তা

আপডেট টাইম : ০৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ফারুক আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরাঃ :

মাগুরায় মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় আমিরন বেগম এখন সাবলম্বী নারী উদ্যোক্তা।

আজ বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩০ টার সময় মাগুরা সদর উপজেলার পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াদুদ মুড়ি মিল পরিদর্শন করেন মুসলিম এইড বাংলাদেশ এনজিও। এসময় মুড়ির মিল পরিদর্শন করেন, মুসলিম এইড বাংলাদেশ আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল হাসান ও মাগুরা জেলা শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

ওয়াদুদ মুড়ি মিলের প্রোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বিশ্বাস বলেন, আমি ১৯৭১ সালের পর থেকে হাট-বাজার ও গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে মাথায় করে তেল ব্যবসা করতাম। এরপর ১৯৯৪-৯৫ সালে এসে আমার স্ত্রী আমিরন বেগমের উৎসাহে মাটির খোলাতে মুড়ি ভেজে হাট-বাজারে বিক্রি শুরু করি। ২০০৫ সালে আমার স্ত্রী আমিরন বেগম মাগুরা মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর ম্যানেজার সিরাজুল ইসলামের সাথে পরিচিত হয়।

মুসলিম এইড বাংলাদেশ এর আর্থিক লোনের সহায়তায় আজ আমরা শূন্য থেকে এই ওয়াদুদ মুড়ির মিল চালু করেছি। বর্তমানে আমাদের এই মিলে ৫ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। আমিরন বেগম আরও বলেন, মুসলিম এইড বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ১৭ বছরে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা লোন দিয়েছে। ওয়াদুদ বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে রাসায়নিক দ্রব্য না ব্যবহার করে, সম্পূর্ণ মানসম্মত উপায়ে শুধুমাত্র লবন দিয়ে  মুড়ি উৎপাদন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ৫০০ কেজি চাল থেকে ৪৪০ কেজি মুড়ি উৎপাদন করা হয়।

আর এই মুড়ি মাগুরা শহর, শত্রুজিৎপুর, আলমখালি ও হাটগোপালপুর মার্কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে। আর বাজারে এই মুড়ি সরবরাহ থেকে প্রতিমাসে সব খরচ বাবদ, ৩০ হাজার টাকার মতো আয় থাকে। আমিরন বেগম আরও বলেন, ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ৯ শতক জমিসহ বাড়ি ও মিল করেছি। আসলে সব সম্ভব হয়েছে মাগুরা মুসলিম এইড বাংলাদেশ এনজিও পাশে ছিলো বলে। আমিরন বেগম এর ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে নিয়ে সুখের সংসার।

৩ মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন আর বর্তমানে ছোট মেয়ে ৯ম শ্রেণীতে ও ছেলে ৭ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। তিনি মুড়ি উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়িতে ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালন করছেন। এ বিষয়ে মুসলিম এইড বাংলাদেশ আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল হাসান ও মাগুরা শাখা ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াদুদ বিশ্বাস ও আমিরন বেগম একসময় প্রচুর কষ্টের জীবন পার করেছেন। মাগুরা মুসলিম এইড বাংলাদেশ তার পাশে থেকে ২০০৫ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আথিক লোন দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করার জন্য সহোযোগিতা করে যাচ্ছেন।

আর তিনি  মুসলিম এইড বাংলাদেশ মাগুরা জেলার একজন সফল উদ্যোক্তা। ভবিষ্যতে মুসলিম এইড বাংলাদেশ (এনজিও) সবসময় তাদের ব্যবসার উন্নয়নের জন্য সর্বদাই পাশে থাকবে।


প্রিন্ট