ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থিতা বর্জনের ঘোষণা দিলেন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান Logo ফরিদপুরে প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দরের ১৫৪ তম শুভ আবির্ভাব উৎসব শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে ভক্তবৃন্দের ঢল Logo নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মৃধা Logo ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবীতে লন্ডনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত Logo মোহনপুরে অর্ধশতাধিক পয়েন্টে অবৈধ পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যে Logo কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর খানকে শোকজ Logo সদরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত Logo মোঃ ইমান আলী মোল্লাকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদান করল জাতীয় শ্রমিক লীগ Logo রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন Logo ফরিদপুরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সামান্য বৃষ্টিতেই মহম্মদপুর উপজেলা শহরের দুই প্রবেশদ্বারে জলাবদ্ধতাঃ ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ

-মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রধান দুই প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্ঠিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে প্রবেশকারী দুরাগত জানবাহন, সাধারন মানুষ, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রধান দুই প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্ঠিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে প্রবেশকারী দুরাগত জানবাহন, সাধারন মানুষ, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিশেষ করে হাটের দিনে সাধারন মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা ও বাজার ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের আর সীমা থাকেনা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় শহরের দুই প্রবেশদ্বারের সড়ক দুটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাধারন মানুষ ও বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, থানা থেকে সড়কটি শহরের প্রবেশ করেছে। যার পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। অন্যদিকে রাস্তা সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটিতে মাটি ভরাট করে উচু করায় মুল রাস্তাটি নিচু হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি নামলে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই পানি শুকাতে সপ্তাহ কেটে যায়।

এ কারণে শহরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ৫ মিনিটের পথ গাড়ি করে পুলিশের আসতে আধাঘন্টা সময় পার হয়। তাই পুলিশ আসার আগেই মুল ঘটনা সংঘঠিত হয়ে যায়। ফলে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হয় সাধারন মানুষ। এ সড়কের কোলঘেষে অবস্থিত, মহম্মদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একাধিক স্বাস্থসেবা কেন্দ্র। একটি মাত্র সড়ক দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষকে। চিকিৎসা নিতে আসা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সবচে বেশী বিপাকে পড়তে হয়।

অন্য প্রবেশদ্বার দিয়ে মহম্মদপুর থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকার সাথে এই সড়কটি সংযুক্ত হয়েছে। এ সড়কের পাশে রয়েছে অফিসপাড়া খ্যাঁত উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন, কারিগরি কলেজ, এসআর দাখিল মাদ্রাসা, এতিম খানা ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহরের প্রবেশদ্বারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে কয়েক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকে রাস্তাটি।

ফলে দুরাগত পণ্য এবং যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে এবং সাধারন মানুষের দুর্ভোগ এখানে নিত্ত দিনের। তাই দর্ভোগ পোহাতে মানুষ অভ্যস্থ হয়ে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ির সামনে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থাকলেও তা নিষ্কাশনে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই গালমন্দ করে থাকেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এই পরিস্থিতি উত্তোরণে কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করলে ড্রেনেজ ব্যবস্থ্যার উদ্যোগ নেয়নি তারা। প্রতিবাদ বা ক্ষোভ প্রকাশে সবার মধ্যে বিরাজমান থাকলে প্ররিস্থিতির প্রতিকারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের বড়ভাই প্রভাসক আবু আব্দুল্লাহ হেল বাকী বলেন, রাস্তার পানি আমার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়। বিষয়টি চেয়ারম্যান কে বলেছি। তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে ড্রেন করে দিতে চেয়েছেন। বাজারের চাউল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমার দোকানের সামনে এ অবস্থা নিত্য দিনের। বিষয়টি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি/ সাধারন সম্পাদকে একাধিকবার অবহিত করেছি। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।

মহম্মদপুর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমিমুল ইসলাম বলেন, বাজার ব্যবসায়ীদের দুরবাস্থার কথা ভেবে আমি কয়েকবার ইউএনও এবং প্রকৌশলী সারে কাছে গিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা বলেছি। কিন্ত কোন কাজ হয় না।

উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হুসাইন বলেন, এ দুটি রাস্তা দুটি সংস্কারে বা পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণে আমরা এখনো কোন প্রকল্পের উদ্যোগ নেইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, জনস্বার্থে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে শিঘ্রই প্রকল্প গ্রহন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

-মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রধান দুই প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্ঠিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে প্রবেশকারী দুরাগত জানবাহন, সাধারন মানুষ, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনে প্রার্থিতা বর্জনের ঘোষণা দিলেন সালথা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান

error: Content is protected !!

সামান্য বৃষ্টিতেই মহম্মদপুর উপজেলা শহরের দুই প্রবেশদ্বারে জলাবদ্ধতাঃ ভোগান্তিতে সাধারন মানুষ

আপডেট টাইম : ০১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রধান দুই প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্ঠিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে প্রবেশকারী দুরাগত জানবাহন, সাধারন মানুষ, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। বিশেষ করে হাটের দিনে সাধারন মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা ও বাজার ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগের আর সীমা থাকেনা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় শহরের দুই প্রবেশদ্বারের সড়ক দুটি খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সাধারন মানুষ ও বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, থানা থেকে সড়কটি শহরের প্রবেশ করেছে। যার পুরোটাই খানাখন্দে ভরা। অন্যদিকে রাস্তা সংলগ্ন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটিতে মাটি ভরাট করে উচু করায় মুল রাস্তাটি নিচু হয়ে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি নামলে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই পানি শুকাতে সপ্তাহ কেটে যায়।

এ কারণে শহরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ৫ মিনিটের পথ গাড়ি করে পুলিশের আসতে আধাঘন্টা সময় পার হয়। তাই পুলিশ আসার আগেই মুল ঘটনা সংঘঠিত হয়ে যায়। ফলে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হয় সাধারন মানুষ। এ সড়কের কোলঘেষে অবস্থিত, মহম্মদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একাধিক স্বাস্থসেবা কেন্দ্র। একটি মাত্র সড়ক দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া করতে হয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষকে। চিকিৎসা নিতে আসা গুরুতর অসুস্থ রোগীদের সবচে বেশী বিপাকে পড়তে হয়।

অন্য প্রবেশদ্বার দিয়ে মহম্মদপুর থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকার সাথে এই সড়কটি সংযুক্ত হয়েছে। এ সড়কের পাশে রয়েছে অফিসপাড়া খ্যাঁত উপজেলা পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন, কারিগরি কলেজ, এসআর দাখিল মাদ্রাসা, এতিম খানা ও কেন্দ্রীয় গোরস্থান। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহরের প্রবেশদ্বারে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে কয়েক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকে রাস্তাটি।

ফলে দুরাগত পণ্য এবং যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচলে এবং সাধারন মানুষের দুর্ভোগ এখানে নিত্ত দিনের। তাই দর্ভোগ পোহাতে মানুষ অভ্যস্থ হয়ে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ির সামনে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি থাকলেও তা নিষ্কাশনে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই গালমন্দ করে থাকেন। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এই পরিস্থিতি উত্তোরণে কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করলে ড্রেনেজ ব্যবস্থ্যার উদ্যোগ নেয়নি তারা। প্রতিবাদ বা ক্ষোভ প্রকাশে সবার মধ্যে বিরাজমান থাকলে প্ররিস্থিতির প্রতিকারে কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

উপজেলা চেয়ারম্যানের বড়ভাই প্রভাসক আবু আব্দুল্লাহ হেল বাকী বলেন, রাস্তার পানি আমার বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে উঠানে জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়। বিষয়টি চেয়ারম্যান কে বলেছি। তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে ড্রেন করে দিতে চেয়েছেন। বাজারের চাউল ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, আমার দোকানের সামনে এ অবস্থা নিত্য দিনের। বিষয়টি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি/ সাধারন সম্পাদকে একাধিকবার অবহিত করেছি। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না।

মহম্মদপুর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আমিমুল ইসলাম বলেন, বাজার ব্যবসায়ীদের দুরবাস্থার কথা ভেবে আমি কয়েকবার ইউএনও এবং প্রকৌশলী সারে কাছে গিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা বলেছি। কিন্ত কোন কাজ হয় না।

উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হুসাইন বলেন, এ দুটি রাস্তা দুটি সংস্কারে বা পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ নির্মাণে আমরা এখনো কোন প্রকল্পের উদ্যোগ নেইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, জনস্বার্থে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে শিঘ্রই প্রকল্প গ্রহন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

-মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রধান দুই প্রবেশদ্বারে সামান্য বৃষ্ঠিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরে প্রবেশকারী দুরাগত জানবাহন, সাধারন মানুষ, পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।