কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান। আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান জেলা আওয়ামী লীগের ২বার সভাপতি ও খোকসা উপজেলা নির্বাচনে ৪ বার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তার রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন চড়াই উতরায় পেরিয়ে তিনি আজ এই স্থানে এসে পৌঁছেছেন। রাজনীতি জীবনে তিনি ১৯৬৮ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন ১৯৬৮ সালে খোকসা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭০ সালে গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন ১৯৭২ সালে খোকসা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে খোকসা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে রাজনীতি করেন ।
১৯৮৩ সালে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন, ১৯৮৬ সালে খোকসা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং আঠারো বছর সুনামের সাথে আওয়ামী লীগের দল পরিচালনা করে দলকে সুসংগঠিত করেন। ১৯৮৭ সালে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালে খোকসা পৌর প্রশাসক নির্বাচিত হন।
২০০৩ সালে খোকসা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং একধারে ১০ বছর তিনি সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত করেন। ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি ২য় বারে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি উপজেলা পরিষদের চতুর্থ বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে ২৫শে নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেন এরপর ২০১৯ সালে ২৮ শে নভেম্বর তিনি কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনের অংশগ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু আহবানে অসহযোগ আন্দোলনের স্বয়ংক্রিয় অংশগ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং যুদ্ধে তিনি খোকসা উপজেলা কমান্ডার হিসাবে নেতৃত্ব দেন এবং যুদ্ধ করেন। ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর সেনাবাহিনী কর্তৃক তিনি গ্রেফতার হন এবং ২১ দিন আটকে রেখে অমানবিক শারীরিক মানসিকভাবে নির্যাতন করেন এবং ১৮ মাস জেলা কারাগার থাকেন।
১৯৯০ সালে স্বৈরাচার আন্দোলনে সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন করেন এবং ২০০৭ থেকে ২০০৯ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে সকল আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ২০০৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতারের প্রতিবাদ করায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করেন ১১ মাস জেলা কারাগারে রাখেন। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন সুসংগঠিত করতে কুষ্টিয়া জেলার বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন।
তার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ কুষ্টিয়া,শোমসপুর আবু তালেব ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, খোকসা কিন্ডার গার্ডেনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, শোমসপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এছাড়া তিনি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলহাজ্ব মোঃ সদর উদ্দিন খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান ইবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়াও তিনি উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন। উপজেলা ও জেলা আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক কর্মজীবনে এক নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করে দলের কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। জেলা পরিষদের মনোনয়ন দেওয়ায় খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগ অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ছবি:
প্রিন্ট