ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা Logo রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণঃ নিহত ১, বহু আহত Logo ফরিদপুরে ড্যাব এর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু Logo শহীদ সাগরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজঃ শোক আর শূণ্যতায় কাতর বাবা-মা Logo ভাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় উপজেলা জামায়াত আমিরসহ নিহত ৩ Logo তানোরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত প্রায় হাটুরে সেলুন Logo গোপালগঞ্জে নিহতের সংখ্যা পাঁচঃ তিন মামলায় আসামি আড়াই হাজার Logo জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে মহম্মদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল Logo যশোরে মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের ১৬৫তম সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাটমোহরে ২০ হাজার টাকার খাসির চামড়ার দাম ৩০ টাকা

পাবনার চাটমোহরে ২০ হাজার টাকার খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০ টাকায়। সকালে যে পশুর চামড়া ৮ শত টাকা দরে কিনেছেন ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা,বিকেলে সেই চামড়ার দাম নেমে এসেছে ৬০০ টাকায়। কেনা চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে দামের পতন দেখতে পান মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোরবানি পশুর চামড়ার দাম কমতে শুরু করে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে।
আড়তে দাম কম-খবরে এলাকায় কমে যায় চামড়ার খুচরা মূল্য। কোরবানিদাতারা আশা অনুযায়ী দাম পায়নি বলে অভিযোগ। চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্নএলাকার ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ঈদের দিন বেলা ১১টার পর থেকেই মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে শুরু করেন। শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে থাকেন। প্রতিটি গরুর চামড়া ৮ ০০ থেকে ৯০০ থেকে টাকায় কেনেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। আর ২০ হাজার টাকা মূল্যের খাসিরচামড়া কেনেন মাত্র ৩০ টাকায়। দুপুর ১টার পর থেকেই চামড়ার দাম কমে যায়। তখন একটি গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কোথাও আবার ৪০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।
মৌসুমী ব্যবসায়ী আয়নাল হক জানান,পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিয়েছে। তার মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারছেন না।
চাটমোহরের বাসিন্দা আঃ সালাম জানান,তাদের এক লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর পরই চামড়ার দাম বলা হয় ৮০০ টাকা। বেলা ১২টার পর ওই চামড়ার দাম ৬০০ টাকার বেশি কেউ বলেনি। বাধ্য হয়ে আগের বলা দামের চেয়ে ২০০ টাকা কমে তাদের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে।
চাটমোহর পৌর শহরের ছোট শালিখা এলাকার বাসিন্দা সোহেল হাসান জানান,২০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।চামড়া ব্যবসায়ী রনজিত দাস বলেন,নগদ টাকার সংকটের কারণে কোনো ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছে না।
 এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনতে হয়েছে। তারা বিক্রি করতে না পারলে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবে। এখনো বাজারে যে দাম আছে তা গত বছরের তুলনায় ভালো বলে জানান তিনি। আরেক ব্যবসায়ী সুকুমার দাস বলেন,ভালো মানের গরুর চামড়া ১০০০ টাকাও কিনেছি।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা

error: Content is protected !!

চাটমোহরে ২০ হাজার টাকার খাসির চামড়ার দাম ৩০ টাকা

আপডেট টাইম : ১১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ জুলাই ২০২২
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ :
পাবনার চাটমোহরে ২০ হাজার টাকার খাসির চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০ টাকায়। সকালে যে পশুর চামড়া ৮ শত টাকা দরে কিনেছেন ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা,বিকেলে সেই চামড়ার দাম নেমে এসেছে ৬০০ টাকায়। কেনা চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে দামের পতন দেখতে পান মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোরবানি পশুর চামড়ার দাম কমতে শুরু করে চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে।
আড়তে দাম কম-খবরে এলাকায় কমে যায় চামড়ার খুচরা মূল্য। কোরবানিদাতারা আশা অনুযায়ী দাম পায়নি বলে অভিযোগ। চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্নএলাকার ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,ঈদের দিন বেলা ১১টার পর থেকেই মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে শুরু করেন। শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে থাকেন। প্রতিটি গরুর চামড়া ৮ ০০ থেকে ৯০০ থেকে টাকায় কেনেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। আর ২০ হাজার টাকা মূল্যের খাসিরচামড়া কেনেন মাত্র ৩০ টাকায়। দুপুর ১টার পর থেকেই চামড়ার দাম কমে যায়। তখন একটি গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কোথাও আবার ৪০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।
মৌসুমী ব্যবসায়ী আয়নাল হক জানান,পুরো বাজারের ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে দাম কম দিয়েছে। তার মতো মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাভ তো দূরের কথা আসল টাকাও তুলতে পারছেন না।
চাটমোহরের বাসিন্দা আঃ সালাম জানান,তাদের এক লাখ ২০ হাজার টাকার গরু কোরবানির পর পরই চামড়ার দাম বলা হয় ৮০০ টাকা। বেলা ১২টার পর ওই চামড়ার দাম ৬০০ টাকার বেশি কেউ বলেনি। বাধ্য হয়ে আগের বলা দামের চেয়ে ২০০ টাকা কমে তাদের চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে।
চাটমোহর পৌর শহরের ছোট শালিখা এলাকার বাসিন্দা সোহেল হাসান জানান,২০ হাজার টাকার কেনা খাসির চামড়া বিক্রি করেন মাত্র ৩০ টাকায়।চামড়া ব্যবসায়ী রনজিত দাস বলেন,নগদ টাকার সংকটের কারণে কোনো ব্যবসায়ী ঝুঁকি নিচ্ছে না।
 এ কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের নিজ দায়িত্বে চামড়া কিনতে হয়েছে। তারা বিক্রি করতে না পারলে লবন দিয়ে সংরক্ষণ করে পরে বিক্রি করবে। এখনো বাজারে যে দাম আছে তা গত বছরের তুলনায় ভালো বলে জানান তিনি। আরেক ব্যবসায়ী সুকুমার দাস বলেন,ভালো মানের গরুর চামড়া ১০০০ টাকাও কিনেছি।

প্রিন্ট