ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর বাঁধ এলাকায় ভাঙ্গন হুমকিতে বিদ্যালয়সহ ৪০ পরিবার

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে নতুন করে নদী ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় ভাঙন ঝুকিতে আছে একটি বিদ্যালয় ও ৪০টি পরিবার।শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঐ এলাকায় নদীর তীর রক্ষা জিও ব্যাগের ডাম্পিং বাঁধে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুভর্তি জিও ব্যাগের প্লেসিং ও ডাম্পিংকৃত প্রায় বিশ মিটার জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানা যায়।পদ্মা নদীতে পানি কিছুটা কমলেও তীব্র শ্রোতের কারণে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে ধারনা করছেন এলকাবাসি।

রবিবার সকালে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঐ এলাকায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের পূর্ব সতর্কতা মূলক প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত প্রায় বিশ মিটার দৈর্ঘ ও দশ মিটার প্রস্থ এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়টি যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এতে ঐ বিদ্যালয়ের ১৩৫জন কোমলমতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বাধাগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি ভাঙনের মুখে রয়েছে নদী পারের ৪০টি পরিবার।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পারের বসতি সেক কালাম(৬৫) শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন সরকারি ভাবে এখানে ভাঙন রোধে কাজ চলছে।শনিবার রাত এগারোটার দিকে তিনি নদী পারে ভাঙন দেখেননি।সকালে ঘুম থেকে উঠে জিওব্যাগ সহ ঐ পাড়ের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এমন চিত্র দেখেন তিনি।নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় চিন্তায় আছি স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় যাব।

সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ বলেন হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দিবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। ভাঙ্গন বিষয়ে উর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন। একশত পয়ত্রিশ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা চলমান রাখতে ভাঙ্গন রোদে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

আরও পড়ুনঃ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মেরামতের উদ্যোগ নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন

ভাঙন রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন ‘সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন।এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন।এবছর পদ্মা নদীর দুইশত মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি।ঐ এলাকায় পূর্ব সতর্কতা মূলক ভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে ঢালু করে তার উপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে।নদীতে তীব্র শ্রোত থাকায় জিও ব্যাগের ডাম্পিং করেও খবু একটা সুফল আসছেনা, তাই ভাঙন রোধে দ্রæত ঐ স্থানে বড় আকৃতির জিওব্যাগের তিনশত টিউব ফেলা হবে বলে জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী ।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

চরভদ্রাসনে পদ্মা নদীর বাঁধ এলাকায় ভাঙ্গন হুমকিতে বিদ্যালয়সহ ৪০ পরিবার

আপডেট টাইম : ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জুন ২০২২
মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি, চরভদ্রাশন,ফরিদপুরঃ :

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে চর হরিরামপুর ইউনিয়নের সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে নতুন করে নদী ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় ভাঙন ঝুকিতে আছে একটি বিদ্যালয় ও ৪০টি পরিবার।শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় ঐ এলাকায় নদীর তীর রক্ষা জিও ব্যাগের ডাম্পিং বাঁধে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালুভর্তি জিও ব্যাগের প্লেসিং ও ডাম্পিংকৃত প্রায় বিশ মিটার জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানা যায়।পদ্মা নদীতে পানি কিছুটা কমলেও তীব্র শ্রোতের কারণে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে ধারনা করছেন এলকাবাসি।

রবিবার সকালে সরজমিনে ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ঐ এলাকায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের পূর্ব সতর্কতা মূলক প্রকল্পের আওতায় জিও ব্যাগের ডাম্পিংকৃত প্রায় বিশ মিটার দৈর্ঘ ও দশ মিটার প্রস্থ এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যলয়টি যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এতে ঐ বিদ্যালয়ের ১৩৫জন কোমলমতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বাধাগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি ভাঙনের মুখে রয়েছে নদী পারের ৪০টি পরিবার।

ভাঙনের বিষয়ে নদী পারের বসতি সেক কালাম(৬৫) শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন সরকারি ভাবে এখানে ভাঙন রোধে কাজ চলছে।শনিবার রাত এগারোটার দিকে তিনি নদী পারে ভাঙন দেখেননি।সকালে ঘুম থেকে উঠে জিওব্যাগ সহ ঐ পাড়ের বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে এমন চিত্র দেখেন তিনি।নতুন করে ভাঙন দেখা দেওয়ায় চিন্তায় আছি স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোথায় যাব।

সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ বলেন হঠাৎ ভাঙ্গন দেখা দিবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। ভাঙ্গন বিষয়ে উর্ধ্বতনদের জানিয়েছেন। একশত পয়ত্রিশ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখা চলমান রাখতে ভাঙ্গন রোদে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টদের প্রতি।

আরও পড়ুনঃ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মেরামতের উদ্যোগ নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন

ভাঙন রোধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন ‘সবুল্লা শিকদারের ডাঙ্গী গ্রামে ভাঙনের খবর তিনি পেয়েছেন।এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছেন।এবছর পদ্মা নদীর দুইশত মিটার স্থায়ী বাঁধের কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি।ঐ এলাকায় পূর্ব সতর্কতা মূলক ভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে ঢালু করে তার উপর জিও ব্যাগের ডাম্পিং করা হয়েছে।নদীতে তীব্র শ্রোত থাকায় জিও ব্যাগের ডাম্পিং করেও খবু একটা সুফল আসছেনা, তাই ভাঙন রোধে দ্রæত ঐ স্থানে বড় আকৃতির জিওব্যাগের তিনশত টিউব ফেলা হবে বলে জানান পাউবোর এই নির্বাহী প্রকৌশলী ।


প্রিন্ট