ফরিদপুরের চরভদ্রাসন মাথাভাঙ্গা স:প্রা: বিদ্যালয়ের সন্নিকটে এক বাড়ি হতে প্রবাসীর স্ত্রী গৃহবধু রেহানা পরভীন ময়না(৩০)এর হাত-মুখ বেধেঁ স্বর্নালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুটে নিয়েছে এক দুবৃত্ত। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের মৃত আনু মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।ময়না ঐ গ্রামের বাসিন্দা সৌদী প্রবাসি আব্দুল কাদের মোল্লা(৪০)এর স্ত্রী।
ঘটনার বিবরনে ভুক্তভোগি ময়না বলেন “ঘটনার দিন বিকাল ৩টার দিকে ময়নার শ্বাশুরী ছোট নাতনি নুসরাত(৬)কে বাড়ি থেকে একটু অদুরে প্রাইভেট পড়াতে নিয়ে যায়।কিছু সময় পরে বৃষ্টি শুরু হয় সে সময় গৃহবধু বাড়িতে একা ছিল।হঠাৎ এক লোক এসে দরজা ধাক্কা দিলে ময়না দরজা খুলে দেয়ে। লোকটি ময়নার শ্বাশুরী কোথায় গেছে জিজ্ঞাসা করে পানি খাওয়ার কথা বলে।গৃহবধু লোকটিকে বসতে বলে পানি আনতে যায়।হঠাৎ গৃহবধু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঐ লোক ময়নার চুল ধরে খুটির সাথে আঘাত করে এসময় ময়না জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।জ্ঞান ফিরে সে তার হাত,পা ও মুখ বাধাঁ অবস্থায় খাটের নীচে নিজেকে দেখেতে পায়।
এ সময় গৃহবধুর সাথে থাকা এক জোড়া কানের দুল,একটি চেইন,আলমারিতে থাকা তার শ্বাশুরী ছমিরন বেগম(৭০)এর হাতের বালাসহ চার ভরি স্বর্নালঙ্কার ও নগদ ৭হাজার টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় ঐ দু:বৃত্ত।ময়নার জ্ঞান ফিরলে পা দিয়ে টিনের বেড়ায় আঘাত করতে থাকে।কিছু সময় পর শব্দ পেয়ে খালেদা(৩২)নামের এক গৃহবধু ময়নাকে উদ্ধার করে।খালেদার চিৎকারে স্থানীয়রা ঐ বাড়িতে আসে।পরে স্বজনেরা ময়নাকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ সালথার গট্টিতে সংঘর্ষে আহত ১০ জন বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট
খবর পেয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা ও চরভদ্রাসন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃজিয়ারুল ইসলাম ভুক্তভোগির বাড়িতে যান।
এ বিষয়ে থানা পরিদর্শক মোঃজিয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।এ ঘটনার সাথে অন্য কোন বিষয় জড়িত থাকলে তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রিন্ট