মাগুরা মহাম্মাদপুর উপজেলার বড় নাউভাঙ্গা গ্রামের প্রতিবন্ধী রেল কর্মী লিটু বিশ্বাসের ১৬খন্ড লাশ উদ্ধার করেছে ঢাকা গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা রেল পুলিশ কর্তৃপক্ষ, নিহতের পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। ২০ মে শুক্রবার গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিচার দাবী চেয়ে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে নিহতের ছোট ভাই লিপন বিশ্বাস জানান,বআমার ভাই প্রতিবন্ধি লিটু বিশ্বাস কয়েকদিন আগে রেলের কিছু মালামাল হারিয়েছিল। সহ কর্মী আলামিন, বড়বাবু, রাসেল ও মোস্তাকদের সাথে মনোমালিন্যের কথা বাড়িতে জানায়। এ নিয়ে প্রায় সময় আমাদেরকে মোবাইল করতো এবং সে প্রায় সময় দুঃচিন্তা করতো।
গতকাল রাত ১০টার সময়ে আমার ভাইয়ের ফোনে ফোন দিলে তার সহপাঠিরা জানায় লিটু বিশ্বাস রেল থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। খবর পেয়ে ঢাকা শ্রীপুর যাই সেখানে রেল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে অপমৃত্যু বিষয়ে মামলা করে। সেখান থেকে নিয়ম অনুযায়ী লাশ নিয়ে আমরা মাগুরার নাউভাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসি।
ঐ গ্রামের সাবেক মেম্বার গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক জানান, আসলে জীবনে অনেক রেলে কাটা মৃত্যু দেখেছি, ১/২/৩/৪ টুকরা লাশ হতে পারে কিন্তু ১৬ টুকরা লাশ হল কিভাবে?
লিটু বিশ্বাসের লাশ শুক্রবার নাউভাঙ্গা গ্রামে পৌছলে গ্রামবাসীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং রাজাপুর ইউনিয়নের বড় নাউভাঙ্গা কালিতলা মন্দিরের রাস্তায় মানববন্ধন করে উপস্থিত এলাকা বাসীর লোকজন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম শাকিল, মেম্বার কালিদাশ রায়, শিব শঙ্কর বিশ্বাস, ইন্দ্রজিত বিশ্বাস, গ্রামের হিন্দু ও মুসলিম প্রমুখ।
লিটু বিশ্বাসের লাশ গ্রামের বাড়িতে আসার পূর্বেই লিটু বিশ্বাসের ছোট ভাই লিপন বিশ্বাস মাগুরা মহম্মদপুর থানাকে ফোন করে জানায়। লিটু বিশ্বাসের পরিবার ও এলাকাবাসীর লোকজনের মন্তব্য লিটু বিশ্বাস গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের রেল স্টেশনে কর্মরত ডিউটি কালীন সময়ে রেল স্টেশনের সোলার ব্যাটারী চুরি নিয়ে, চাকরিরত সহকর্মীদের সাথে কথা বাকবিতন্ডার জন্য এ হত্যাকান্ড করেছে তার সহকর্মীরা।
কারণ এলাকাবাসীর প্রতিটা লোকজন বলেন, রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে লিটু বিশ্বাস খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলো, সে কখনও নিজেকে আত্মহত্যার পথে যেতে পারে না, এটা অবশ্যই পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে লিটুকে হত্যা করে মরদেহ ট্রেন লাইনের আশেপাশে ফেলে দিয়েছে। তারা এ সময়ে মানববন্ধনে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, লিটু হত্যার দাবির সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেন।
প্রিন্ট