অবশেষে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে আড়াআড়ি উল্টে পড়া বেক্সিমকো ফার্মার গ্যাস সিলিন্ডারবাহী ১০চাকার ট্রাকটি। প্রায় ৩২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১২টার সময় কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এলপিজি বহনকারী একটি ট্রাক উল্টে যায়। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে, এ ঝুঁকির কারণে প্রায় ৩২ ঘন্টা উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সকল প্রকার যানচলাচল বন্ধ ছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৩২ ঘণ্টা ধরে এলপিজিবাহী ১০ চাকার একটি ট্রাক মহাসড়কে আড়াআড়িভাবে উল্টে থাকায় উভয় দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগের এ মহাসড়কটির দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এ মহাসড়কে চলাচলকারী কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
বিস্ফোরণ হলে যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য উভয় পাশে বালু স্তুপ করে সিলিন্ডার সরানোর জন্য বেক্সিমকো কোম্পানির একটি টিম ও কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং পাবনা থেকে আসা ক্রেনের চালকসহ অত্যাধুনিক যন্ত্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মীরা মহাসড়কটি সচল করে ২২শে ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে। প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর এলপিজিবাহী গ্যাস ভর্ত্তি ট্রাকটি ক্রেন দিয়ে সরানো হয়। তার পর থেকে এই রুটে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী জানান, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। রাস্তায় গত ২০ফেব্রুয়ারী উল্টে পড়া ১৭ টনের এলপিজিবাহী ট্রাকটি ক্রেন দিয়ে সরানো হয়েছে। ট্রাকটি অপসারণ করায় দীর্ঘ প্রায় ৩২ ঘণ্টার বেশি সময় পর এ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলো।
উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকেলে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর থেকে বড় সিলিন্ডারবাহী বেক্সিমকো ফার্মার ১০ চাকার একটি ট্রাক প্রায় ১৭ টন এলপিজি গ্যাস নিয়ে নাটোরের দিকে রওনা হয়। ঐদিনই রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ট্রাকটি কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া এলাকায় ভাঙাচোরা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ট্রাকটি সড়কে আড়াআড়িভাবে উল্টে থাকায় উভয়দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ৩২ জেলার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের এ মহাসড়কটির দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মহাসড়কটিতে দীর্ঘ যানজটে বন্ধ থাকার কারণে উভয় পাশে কয়েক হাজার ট্রাক ও পণ্য বাহী গাড়ি আটকে পড়ে। বিকল্প ছোট পকেট রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল ওই রুটে চলাচলকারী যানবাহন। এতে ভারী যানবাহন চলাচল করায় মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সড়ক ভেঙে ও দেবে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কটি বন্ধ থাকার কারণে উভয়পাশে কয়েক হাজার ট্রাক ও পণ্যবাহী গাড়ি আটকে পড়েছিল। প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন আর সমস্যা নেই। এই রুটে যানবহন এখন দিদারছে চলছে।
প্রিন্ট