ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পৌরসভার সড়কে চাঁদা না দিলে প্রতিবন্ধীসহ চালকদেরকে প্রকাশ্যে মারধর Logo ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে হাঁড়ি পাতিল বিক্ষোভ Logo আলদাদপুরে উত্তেজনাঃ প্রশাসনের গাফিলতির প্রশ্ন উঠছে সর্বমহলে Logo হাতিয়ায় জোয়ারে ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত, বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত Logo জার্মানির বন নগরীর প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে সকলকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান Logo রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ Logo মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে গ্রেফতার রঞ্জন রায়ের ফাঁসির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ Logo নগরকান্দায় বাসের চাপায়  নারীর মৃত্যু বাস ভাংচুর Logo অধিকাংশ দলই ক্ষমতার রাজনীতি করছেঃ – এনডিবি চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী Logo দুবাইতে বাংলাদেশ প্রবাস ক্লাবের উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আলদাদপুরে উত্তেজনাঃ প্রশাসনের গাফিলতির প্রশ্ন উঠছে সর্বমহলে

গোলাম রাব্বীঃ

 

রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে একজন ব্যক্তির গ্রেফতারের পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল থেকেই আলদাদপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। যেকোনো মুহূর্তে হামলা বা সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তা সত্ত্বেও প্রশাসন সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেনি। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এমন গাফিলতি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে স্পষ্ট করে তুলছে।

 

আজ দুপুর তিনটার দিকে পাশ্ববর্তী বাংলাবাজার এলাকায় কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে শুরু করলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসনকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাবাজারে লোক জড়ো হওয়া পর্যন্ত কেন আলদাদপুরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি?

 

স্থানীয় রাজনীতিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রশাসন চাইলে আগেই অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে পাঠাতে পারতো। এমনকি তাদের জনবল সংকট থাকলে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতাও নিতে পারতো। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপি ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।

 

বেতগাড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও এনসিপির উপজেলা আহ্বায়ক রিফাত হোসেন প্রশাসনকে বিকেল ৩টার দিকেই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল—”পুরো এলাকায় চোখ-কান খোলা রাখা হয়েছে”। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো প্রস্তুতির নমুনা পাওয়া যায়নি।

 

ঘটনার সময়োচিত ও কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেওয়ার দায় এড়াতে পারবে না স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—এমন মন্তব্য করছেন এলাকাবাসীসহ বিশ্লেষকরা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পৌরসভার সড়কে চাঁদা না দিলে প্রতিবন্ধীসহ চালকদেরকে প্রকাশ্যে মারধর

error: Content is protected !!

আলদাদপুরে উত্তেজনাঃ প্রশাসনের গাফিলতির প্রশ্ন উঠছে সর্বমহলে

আপডেট টাইম : ২৬ মিনিট আগে
গোলাম রাব্বী, গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি :

গোলাম রাব্বীঃ

 

রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে একজন ব্যক্তির গ্রেফতারের পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল থেকেই আলদাদপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। যেকোনো মুহূর্তে হামলা বা সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তা সত্ত্বেও প্রশাসন সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেনি। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এমন গাফিলতি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে স্পষ্ট করে তুলছে।

 

আজ দুপুর তিনটার দিকে পাশ্ববর্তী বাংলাবাজার এলাকায় কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে শুরু করলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসনকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাবাজারে লোক জড়ো হওয়া পর্যন্ত কেন আলদাদপুরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি?

 

স্থানীয় রাজনীতিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রশাসন চাইলে আগেই অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে পাঠাতে পারতো। এমনকি তাদের জনবল সংকট থাকলে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতাও নিতে পারতো। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপি ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।

 

বেতগাড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও এনসিপির উপজেলা আহ্বায়ক রিফাত হোসেন প্রশাসনকে বিকেল ৩টার দিকেই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল—”পুরো এলাকায় চোখ-কান খোলা রাখা হয়েছে”। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো প্রস্তুতির নমুনা পাওয়া যায়নি।

 

ঘটনার সময়োচিত ও কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেওয়ার দায় এড়াতে পারবে না স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—এমন মন্তব্য করছেন এলাকাবাসীসহ বিশ্লেষকরা।


প্রিন্ট