গোলাম রাব্বীঃ
রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে একজন ব্যক্তির গ্রেফতারের পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল থেকেই আলদাদপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। যেকোনো মুহূর্তে হামলা বা সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তা সত্ত্বেও প্রশাসন সেখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেনি। এমন স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এমন গাফিলতি প্রশাসনের দায়িত্বহীনতাকে স্পষ্ট করে তুলছে।
আজ দুপুর তিনটার দিকে পাশ্ববর্তী বাংলাবাজার এলাকায় কিছু লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে শুরু করলে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা প্রশাসনকে তাৎক্ষণিকভাবে অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাবাজারে লোক জড়ো হওয়া পর্যন্ত কেন আলদাদপুরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়নি?
স্থানীয় রাজনীতিকদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রশাসন চাইলে আগেই অতিরিক্ত ফোর্স চেয়ে পাঠাতে পারতো। এমনকি তাদের জনবল সংকট থাকলে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর সহযোগিতাও নিতে পারতো। জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি, এনসিপি ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।
বেতগাড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির ও এনসিপির উপজেলা আহ্বায়ক রিফাত হোসেন প্রশাসনকে বিকেল ৩টার দিকেই পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল—”পুরো এলাকায় চোখ-কান খোলা রাখা হয়েছে”। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো প্রস্তুতির নমুনা পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময়োচিত ও কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নেওয়ার দায় এড়াতে পারবে না স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—এমন মন্তব্য করছেন এলাকাবাসীসহ বিশ্লেষকরা।
প্রিন্ট