মাগুরায় ফকির মনোরঞ্জন গোঁসাই-এঁর ৮ম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে শুভ সাধুসঙ্গ দিবসের আয়োজন করা হয়। রবিবার ২ জানুয়ারী ২০২২ সন্ধ্যা থেকে ৩ জানুয়ারী ২০২২ বৈকাল পর্যন্ত মনোরঞ্জন ধাম কোকিল কুঞ্জু, ছানার বটতলা, মাগুরা ২ দিবসের শুভ সাধুসঙ্গর অায়োজন করা হয়।
অধ্যক্ষ শাহী আলমের সভাপতিত্বে শুভ সাধুসঙ্গ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মাগুরা ডঃ আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ খান জিয়াউল হক, সহকারী পরিচালক ঔষধ প্রশাসন নাজমুল হাসান, লালন গবেষক সুমন শিকদার।স্বাগত বক্তা অধ্যক্ষ তপন কুমার বসু।
এছাড়াও শুভ সাধুসঙ্গর আলোচক ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান, সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজী বিভাগ) ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় লিটন বরন শিকদার, শিক্ষিকা (অবসরপ্রাপ্ত) সবিতা বসু।
অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, ধুমপান, মাংস ও মাদক বর্জিত সাধু সঙ্গ দিবসে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, রাজশাহী, ঢাকা, মেহেরপুর, বরগুনা, মাগুরা জেলা সহ আগত পুরুষ ও মহিলা সাধু ভক্ত বৃন্দগণ উপস্থিত ছিলেন। শুভ সাধুসঙ্গ দিবসে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ডঃ আশরাফুল আলমের হাতে ফকির মনোরঞ্জন সাঁইজির প্রকাশিত ২ টা বই ( বাউল মতের শিকড় সন্ধানে ও সত্যয়) উপহার দেন অধ্যক্ষ তপন কুমার বসু এবং অতিথিবৃন্দগণ।
জেলা প্রশাসক ডঃ আশরাফুল আলম বলেন, ফকির মনোরঞ্জন সাঁইজি ছিলেন উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত চিকিৎসক কবিরাজ, তিনি অত্যন্ত সৎ ও গুণী মানুষ ছিলেন। সর্বশেষে ডঃ আশরাফুল আলম বলেন, সত্যর সন্ধান করতে হলে এবং সৃষ্টিকর্তাকে পেতে হলে অবশ্যই প্রতিটা মানুষকে ভালোবাসতে হবে। অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ তপন কুমার বসু বলেন, আমার বাবা স্বর্গীয় ফকির মনোরঞ্জন সাঁইজি ছিলেন ফকির লালনশাহ সাঁইজির অনুসারী। তার জন্ম হয়ে ছিলো ১৪ এপ্রিল ১৯২৮ সালে এবং স্বর্গীয় হন ২ জানুয়ারী ২০১৪ সালে।
বাবার জন্য ২০১৫ সাল থেকে ফকির মনোরঞ্জন ধাম কোকিল কুঞ্জ নিবাসে প্রতি বছর সাধু সঙ্গ দিবস দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আশা বাবার বাউল ভক্ত বৃন্দগণের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সাধু সঙ্গ দিবসে অতিথি বক্তারা ফকির মনোরঞ্জন সাঁইজির জীবনের বিভিন্ন ভালো কর্মের বিষয় চিত্র আলোচনা করেন। সোমবার ৩ জানুয়ারী দুপুরের পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আশা সাধুদের আপ্যায়ণের মাধ্যমে সাধুসঙ্গ দিবস উদযাপন সমাপ্তি করা হয়।
প্রিন্ট