ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫ Logo ফরিদপুরে আ.লীগের ব্যানারে মিছিল দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ Logo বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্মেলন Logo শ্রমিকদল নেতাদের সহযোগীতায় জোরপূর্বক জমি দখলে শসস্ত্র হামলা Logo ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সদের একদফা দাবিতে দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত Logo ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা Logo আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক Logo মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ Logo ভূরুঙ্গামারীতে নাশকতা বিরোধী বিশেষ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়া হাসপাতালে ২৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ২০৬ শিশু

কুষ্টিয়ায় শিশুদের জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ২৮ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ২০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশ শিশুর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। এদিকে জনবল সংকট ও অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে শিশুরা ভিড় জমাচ্ছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শয্যা সংকটের কারণে এক শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগীকেও চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। রোগীদের ভিড়ে শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে।

ডা. এম এ মোমেন বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ২৮ শয্যার বিপরীতে এখন ২০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রোববার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে শতশত রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকরা শিশু রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। সোমবার হাসপাতালে বারান্দায় গিয়ে দেখা যায়, মায়ের কোলের উপর রেখেই দেওয়া হচ্ছে স্যালাইন এবং ইনজেকশন। পর্যাপ্ত ওষুধ থাকলেও জনবল ও জায়গার অভাব রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লালপুরের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৫

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়া হাসপাতালে ২৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ২০৬ শিশু

আপডেট টাইম : ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ায় শিশুদের জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ২৮ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে ২০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশ শিশুর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। এদিকে জনবল সংকট ও অতিরিক্ত রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনই জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে শিশুরা ভিড় জমাচ্ছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে আক্রান্ত রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শয্যা সংকটের কারণে এক শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক রোগীকেও চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। রোগীদের ভিড়ে শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের জায়গা নেই।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে গেছে।

ডা. এম এ মোমেন বলেন, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ২৮ শয্যার বিপরীতে এখন ২০৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। সেবা দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রোববার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে শতশত রোগীর অভিভাবক ও স্বজনরা গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভেতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকরা শিশু রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। সোমবার হাসপাতালে বারান্দায় গিয়ে দেখা যায়, মায়ের কোলের উপর রেখেই দেওয়া হচ্ছে স্যালাইন এবং ইনজেকশন। পর্যাপ্ত ওষুধ থাকলেও জনবল ও জায়গার অভাব রয়েছে।


প্রিন্ট