কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যার পানি কমতে থাকায় পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হলেও আবারও পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নতুন করে বন্যাকবলিতদের মাঝে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। গত দুইদিন ধরে পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা কবলিত রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের প্রায় ৩৭ গ্রামের পানিবন্দি অর্ধলক্ষ মানুষের আবারও দুর্ভোগ বাড়ছে। অনেকেই আশ্রয় হারিয়ে তারা এখন দিশাহারা। বানভাসী মানুষরা চরম দুর্ভোগ ও নানা দুদর্শায় রয়েছে।
পানি কমতে থাকায় কোমর অথবা হাঁটু পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছিল বন্যাকবলিতদের। গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে বানভাসীদের মাঝে। প্রায় একমাস ধরে বন্যাকবলিত অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি থাকায় তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা ধরণের রোগ।
মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিচু গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। টানা পানি বাড়ায় অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায়ও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ডুবা এলাকা গুলিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও পশু খাদ্যেরও খাদ্য সংকট রয়েছে। এদিকে পানিবন্দি অর্ধলক্ষ অসহায় মানুষের অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটলেও দুই ইউনিয়নে ১৬০০ প্যাকেট করে মাত্র ৩ হাজার ২০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল জানান, গত দু’দিন ধরে বন্যার পানি আবারও বাড়ছে। প্রতিদিনই প্রায় দুই ইঞ্চি করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তারা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, গত ক’দিন ধরে বন্যার পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে মানুষ। ফলে চিলমারীবাসীর মাঝে বেড়েছে নানা উদ্বেগ উৎকন্ঠা। পানি কমতে থাকায় জেগে উঠা চরে মাসকলাইসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল বপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কৃষকরা। এসময়ে আবারও বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠার মধ্যে পড়েছেন।
প্রিন্ট