ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রোগী ভর্তি শুরু Logo শিবপুরে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ Logo দিনাজপুরে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধান বিচারপতির বৃত্তি প্রদান Logo রাজশাহীতে মোবাইল কোর্টে ৪ জন কীটনাশক ব্যবসায়ীকে জরিমানা Logo রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিএনপি Logo খোকসায় ধর্ষিতা পরিবারকে সাহায্যে হাত বাড়ালেন ইউএনও প্রদীপ্ত রায় দীপন Logo চুয়াডাঙ্গার ভীমরুল্লায় বিয়াই-বিয়ানকে বিয়ে Logo বোয়ালমারীতে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নির্বাচনের কথা বলে মুখে ফেনা তুললেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না -নুসরাত তাবাসসুম Logo দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়, নেই ভোগান্তি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বোয়ালমারীতে কলেজ ছাত্রীর সাথে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের পর অস্বীকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মামুন খান (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের মো. আরমান খান ওরফে পারুল খানের ছেলে। মামুন খান বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদি হয়ে মামুন খানের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর একদিন আগে ওই ছাত্রী প্রতিকার চেয়ে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-র নিকটও লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই ছাত্রী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের পাঁচ ময়না গ্রামের বাসিন্দা এবং বোয়ালমারী পৌর সদরে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (১৮)।

থানায় করা লিখিত অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, মামুন খান প্রায় ৫ বছর থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে চলতি বছরের ১৯ জুলাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ফরিদপুর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে ছেলে-মেয়ে দুইজন উপস্থিত হয়ে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

বিয়ের পর থেকে মামুন খানের পরামর্শে ওই কলেজ ছাত্রী তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। ছেলের পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় মামুন খান বিয়ের জন্য সম্প্রতি অন্যত্র মেয়ে দেখছেন।

এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার মামুন খানের পরিবারকে মেয়ে উঠেয়ে নিতে চাপ দিলে মামুন খান বিভিন্ন টালবাহানা দেখিয়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এর আগেও আরেকটি মেয়ের সাথে মামুন খান প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সেখানে জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যান বলে একটি সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে মামুন খানের বাবা আরমান খান ওরফে পারুল বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হয়নি। এছাড়া আমার ছেলে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেনি। বিবাহের এফিডেভিটেও স্বাক্ষর করেনি। এটা সাজানো নাটক।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর নোটারী পাবলিকের অ্যাড. খিতিশ চন্দ্র মন্ডল জানান, ছেলে-মেয়ে দুইজনই সশরীরে হাজির হয়ে বিবাহের এফিডেভিটে স্বাক্ষর করেছেন। এটা আমার রেজিস্ট্রারেও লিপিবদ্ধ আছে।

ময়না ইউপি চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম বলেন, ছেলে-মেয়ের উভয়পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মিমাংসা হয়নি। তবে মেয়ের কাছে বিবাহের এফিডেভিট ও মোবাইলে কথা এবং ম্যাসেজ আদান প্রদানের তথ্য রয়েছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, কলেজ ছাত্রীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে রোগী ভর্তি শুরু

error: Content is protected !!

বোয়ালমারীতে কলেজ ছাত্রীর সাথে বিয়ের নামে প্রতারণার অভিযোগ সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম : ০৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
বিশেষ প্রতিনিধি, বোয়ালমারীঃ :

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের পর অস্বীকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মামুন খান (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামের মো. আরমান খান ওরফে পারুল খানের ছেলে। মামুন খান বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত রয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বাদি হয়ে মামুন খানের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর একদিন আগে ওই ছাত্রী প্রতিকার চেয়ে বোয়ালমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-র নিকটও লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই ছাত্রী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের পাঁচ ময়না গ্রামের বাসিন্দা এবং বোয়ালমারী পৌর সদরে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী (১৮)।

থানায় করা লিখিত অভিযোগ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, মামুন খান প্রায় ৫ বছর থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে চলতি বছরের ১৯ জুলাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ফরিদপুর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে ছেলে-মেয়ে দুইজন উপস্থিত হয়ে তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

বিয়ের পর থেকে মামুন খানের পরামর্শে ওই কলেজ ছাত্রী তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। ছেলের পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় মামুন খান বিয়ের জন্য সম্প্রতি অন্যত্র মেয়ে দেখছেন।

এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবার মামুন খানের পরিবারকে মেয়ে উঠেয়ে নিতে চাপ দিলে মামুন খান বিভিন্ন টালবাহানা দেখিয়ে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এর আগেও আরেকটি মেয়ের সাথে মামুন খান প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সেখানে জরিমানা দিয়ে পার পেয়ে যান বলে একটি সূত্র জানায়।

এ ব্যাপারে মামুন খানের বাবা আরমান খান ওরফে পারুল বলেন, আমার ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হয়নি। এছাড়া আমার ছেলে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেনি। বিবাহের এফিডেভিটেও স্বাক্ষর করেনি। এটা সাজানো নাটক।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর নোটারী পাবলিকের অ্যাড. খিতিশ চন্দ্র মন্ডল জানান, ছেলে-মেয়ে দুইজনই সশরীরে হাজির হয়ে বিবাহের এফিডেভিটে স্বাক্ষর করেছেন। এটা আমার রেজিস্ট্রারেও লিপিবদ্ধ আছে।

ময়না ইউপি চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম বলেন, ছেলে-মেয়ের উভয়পক্ষই আমার কাছে এসেছিল। মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মিমাংসা হয়নি। তবে মেয়ের কাছে বিবাহের এফিডেভিট ও মোবাইলে কথা এবং ম্যাসেজ আদান প্রদানের তথ্য রয়েছে।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, কলেজ ছাত্রীর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট