ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে কবিরাজের লাশ উদ্ধার Logo পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারী গ্রেফতার Logo শালিখার আড়পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে মুগ্ধ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা Logo ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ Logo ফরিদপুরের ধর্ষণ মামলার আসামী সোহেল গ্রেপ্তার Logo পাংশায় শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সভায় নতুন কমিটি Logo কুষ্টিয়ায় উলামা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত Logo নির্বাচন ছাড়া কোন সরকার দীর্ঘদিন থাকলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারেরা জন্ম নেয়ঃ -আব্দুস সালাম Logo ভেড়ামারায় মাজারে মাদকবিরোধী অভিযান, ভক্তদের হাতে লাঞ্ছিত ম্যাজিস্ট্রেট
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দেখার কি কেউ নেই?

এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ

মরে যাচ্ছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন বটগাছটি। এরই মধ্যে অসংখ্য ডালপালা মরে পড়ে গেছে। বটগাছটি দেখভালে বনপ্রহরী থাকলেও বিন্দুমাত্র যত্ন নেন না। তবে স্বেচ্ছায় আব্দুল খালেক নামে একজন গাছটির যত্ন নিচ্ছেন।

বৃহত্তম এ বটগাছটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে কালীগঞ্জ-আড়পাড়া পাকা সড়কের পাশে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ৩০০ বছরের পুরনো এ গাছটি দেখতে আসেন। ১১ একর জমিজুড়ে রয়েছে এর অস্তিত্ব। এর উচ্চতা আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বর্তমানে গাছটি ৪৫টি বটগাছে রূপ নিয়েছে।

এ গাছের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা না গেলেও এলাকার বয়োবৃদ্ধদের মুখে জানা যায়, একটি কুয়ার পাড়ে ছিল এ গাছের মূল অংশ। তখন জনবসতি ছিল খুবই কম। সড়কের পাশে এ গাছটি ছিল ডালপালা পাতায় পরিপূর্ণ। গাছের তলায় রোদ-বৃষ্টি পড়ত না। মাঘ মাসের শীতের রাতেও গাছের নিচে গরম থাকত।

গ্রীষ্মে গাছের নিচে লাগত ঠান্ডা পথচারীরা গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন। বাস্তবে এ এলাকায় সুইতলা নামে কোনো স্থানের অস্তিত্ব নেই। তাই বয়োবৃদ্ধদের ধারণা, পথশ্রান্ত পথিকরা যখন এ মনোরম স্থানে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন, তখন থেকেই অনেকের কাছে এটি সুইতলা বটগাছ বলে পরিচিতি লাভ করে। আর এর থেকেই নামকরণ হয় সুইতলা বটগাছ। মূল গাছ এখন আর নেই। বর্তমানে প্রায় দু-তিনশ ‘ব’ নেমে প্রায় ১১ একর জমি দখল করে নিয়েছে এ বৃহত্তম গাছটি।

গাছটি কেন্দ্র করে পাশেই বাংলা ১৩৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মল্লিকপুরের বাজার। বটগাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রেস্ট হাউসটি এখন আর বাসযোগ্য নয়। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসাও বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, ঐতিহাসিক এ বটগাছটি দেখভালের জন্য বাংলো বানিয়ে শাহিন কবির নামে একজনকে বনপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি মানুষকে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে লোকজন গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি শাহিন। তিনি বলেন, বন কর্মকর্তার নিষেধ আছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

দেখার কি কেউ নেই?

এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ :

মরে যাচ্ছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন বটগাছটি। এরই মধ্যে অসংখ্য ডালপালা মরে পড়ে গেছে। বটগাছটি দেখভালে বনপ্রহরী থাকলেও বিন্দুমাত্র যত্ন নেন না। তবে স্বেচ্ছায় আব্দুল খালেক নামে একজন গাছটির যত্ন নিচ্ছেন।

বৃহত্তম এ বটগাছটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে কালীগঞ্জ-আড়পাড়া পাকা সড়কের পাশে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ৩০০ বছরের পুরনো এ গাছটি দেখতে আসেন। ১১ একর জমিজুড়ে রয়েছে এর অস্তিত্ব। এর উচ্চতা আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বর্তমানে গাছটি ৪৫টি বটগাছে রূপ নিয়েছে।

এ গাছের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা না গেলেও এলাকার বয়োবৃদ্ধদের মুখে জানা যায়, একটি কুয়ার পাড়ে ছিল এ গাছের মূল অংশ। তখন জনবসতি ছিল খুবই কম। সড়কের পাশে এ গাছটি ছিল ডালপালা পাতায় পরিপূর্ণ। গাছের তলায় রোদ-বৃষ্টি পড়ত না। মাঘ মাসের শীতের রাতেও গাছের নিচে গরম থাকত।

গ্রীষ্মে গাছের নিচে লাগত ঠান্ডা পথচারীরা গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন। বাস্তবে এ এলাকায় সুইতলা নামে কোনো স্থানের অস্তিত্ব নেই। তাই বয়োবৃদ্ধদের ধারণা, পথশ্রান্ত পথিকরা যখন এ মনোরম স্থানে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন, তখন থেকেই অনেকের কাছে এটি সুইতলা বটগাছ বলে পরিচিতি লাভ করে। আর এর থেকেই নামকরণ হয় সুইতলা বটগাছ। মূল গাছ এখন আর নেই। বর্তমানে প্রায় দু-তিনশ ‘ব’ নেমে প্রায় ১১ একর জমি দখল করে নিয়েছে এ বৃহত্তম গাছটি।

গাছটি কেন্দ্র করে পাশেই বাংলা ১৩৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মল্লিকপুরের বাজার। বটগাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রেস্ট হাউসটি এখন আর বাসযোগ্য নয়। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসাও বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে, ঐতিহাসিক এ বটগাছটি দেখভালের জন্য বাংলো বানিয়ে শাহিন কবির নামে একজনকে বনপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি মানুষকে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে লোকজন গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি শাহিন। তিনি বলেন, বন কর্মকর্তার নিষেধ আছে।


প্রিন্ট