সেলিম সানোয়ার পলাশঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও হেরোইনের গডফাদার খ্যাত মো. সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল রানা গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি মাদক ব্যবসা বিস্তার করেন এবং এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোহেল ছিলেন রাজশাহীর পলাতক সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এলাকায় তিনি ‘ওমর ফারুকের ভাগ্নে’ নামে পরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় তিনি মাদক ব্যবসা থেকে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যান। শুধু টাকাই নয়, তিনি একের পর এক জমিজমাও কিনেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সোহেল তার প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর দীর্ঘদিন ধরে জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খুলতে পারতেন না। মাদক ব্যবসা করে গড়ে তোলা টাকার জোরেই তিনি এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট গোদাগাড়ী থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
থানা সূত্রে জানা যায়, গোদাগাড়ীতে মাদকবিরোধী অভিযান নিয়মিত চলছে। সোহেল রানার মতো চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের একে একে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের গডফাদারদের শেকড় উপড়ে না ফেললে এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না।
প্রিন্ট