মোঃ ইকবাল হোসেনঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামে সাবেক মেম্বার প্রার্থী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া মোল্যার গ্রেফতারকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। প্রতিহিংসামূলক কারণে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার ও গ্রামবাসী।
গত ১৬ আগস্ট (শনিবার) বিকাল ৪টায় শৈলমারী চৌরাস্তায় গ্রামবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। তারা জিয়ার মুক্তি দাবি জানায় এবং গ্রেফতারের নিন্দা জানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শৈলমারী গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমানকে ১৩ আগস্ট আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে এবং পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন তবিবুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন খাইরুল ইসলাম। বক্তব্যে বক্তারা অভিযোগ করেন- দরাসার জমি নিয়ে রেষারেষির জেরে প্রতিহিংসাপরায়ণ একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়েছে। সাজানো কমিটি দেখিয়ে জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছে। দিনমজুর হওয়া সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতারের কারণে পরিবার মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
জিয়ার বড় ভাই ফায়েক মোল্যা বলেন, “তার নামে কোনো মামলা ছিল না। হঠাৎ করেই পুলিশ কোনো প্রকার ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে তুলে নেয়। আমরা এই অন্যায়ের নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে তার মুক্তি চাই।” জিয়ার স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “ছেলে-মেয়ে নিয়ে এখন আমি কোথায় যাব? ঘরে চাল-ডাল নাই। রান্না করতে পারছি না। আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাই।”
আদালতে চালানের ফরওয়ার্ডিং সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা থানার জিআর মামলা নং-৩–এ জিয়াকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে চালান করা হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া মোল্যা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সরেজমিনে স্থানীয়দের অনেকে বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও জিয়াউর রহমান এলাকায় প্রভাবশালী ছিলেন। তার এই সামাজিক অবস্থান ও জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই প্রতিপক্ষরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাকে গ্রেফতার করিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে পরিবার ও এলাকাবাসী ছোট পরিসরে মানববন্ধনও করেছে।
প্রিন্ট