মোঃ নূর ই আলম (কাজী নূর):
শিক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী বলেছেন, ফিজিক্স নিয়ে প্রফেসর ড. এম শমশের আলীর নিজস্ব গবেষণা এবং সাফল্য রয়েছে। ফিজিক্সে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তিনি ইসলাম ধর্মকে বিজ্ঞানের আলোকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। ধর্ম, বিজ্ঞান এবং সাহিত্য—এই তিনটি তার চিন্তা-চেতনার অংশ। সাহিত্যের ওপর তার অগাধ জ্ঞান এবং ব্যাখ্যা ছিল।
ওনার প্রধান কীর্তি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন পেশাজীবিরা যেন পড়াশোনা করতে পারেন সেই সুবিধার্থে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। ড. এম শমশের আলী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবক এবং প্রথম ভিসি। তবে দুঃখজনক হলো, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও আমরা ড. এম শমশের আলীর মতো গুণী দ্বিতীয়জন তৈরি করতে পারিনি। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের দৈন্যতা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টায় শিক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও নারীনক্ষত্র সোসাইটি রেল রোডের আয়োজনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী যশোরের কৃতি সন্তান প্রফেসর ড. এম শমশের আলীর জীবন ও দর্শন নিয়ে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী।
শুভেচ্ছা ও আলোচকবৃন্দ
যশোরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল গফুরের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শিক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বাস ওয়াহিদুজ্জামান।
আলোচনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অব.) রবিউল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম শমশের আলী যশোরের গর্বিত সন্তান।
১৯৫৪ সালে তিনি যশোর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন।
১৯৭৩ সালে স্পেশাল সাইটেশনের মাধ্যমে ড. আলীকে অনারারি প্রফেসর অফ ফিজিক্স করে বিরল সম্মাননা প্রদান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ড. আলীকে প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন।
ড. আলী যশোরের কোন যোগ্য মানুষ পেলে তাকে যথাযথ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ভাবতেন যশোরের মানুষ পিছিয়ে থাকলে যশোরের কোন উন্নয়ন হবে না। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী যশোরের লোকদেরকে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেবার চেষ্টা করতেন তিনি।
অন্যান্য বক্তা
অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন— শিক্ষা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাসচিব ও বীর প্রতীক ইসহাক কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক মোরশেদ, সাতক্ষীরা কলারোয়ার হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুল আলীম, যশোর সদর উপজেলার মাহিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজমিনুর রহমান, কর্মসংস্থান ব্যাংকের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ লেখক শিবির যশোর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিলন বিশ্বাস, কবি ও সাংবাদিক কাজী নূর প্রমুখ।
সিদ্ধান্ত ও দোয়া
সভায় শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় ড. এম শমশের আলী বিজ্ঞান উন্নয়ন ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তার বিদেহী রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
প্রিন্ট