সাজেদুর রহমানঃ
দেশজুড়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট-২০২৫) সকাল ১০টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য ডা. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, “থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ, যা বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানের মধ্যে সংক্রমিত হয়। দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮ হাজার শিশু এ রোগ নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।” তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ অজান্তেই থ্যালাসেমিয়ার বাহক এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন। তিনি বলেন, “অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন এই রোগের কার্যকর চিকিৎসা হলেও এর ব্যয়বহুলতা ও ডোনারের সংকট বড় প্রতিবন্ধক। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই এখন সময়ের দাবি।”
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের হেড অব এইচআর অ্যান্ড অপারেশন এবিএম জোনায়েদ। তিনি থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ, বাহক শনাক্তকরণ, চিকিৎসা পদ্ধতি ও করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন। ফাউন্ডেশনের চীফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সাজিয়া শারমিন রোগটির জটিলতা ও প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
সেমিনার শেষে আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন অনেকে। উপস্থিত অনেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন, যা অনুষ্ঠানে মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটায়।
আয়োজকরা জানান, এ ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে চালানো হবে। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধিতে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন ও কাস্টমস ক্লাব বেনাপোলের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিন্ট