ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভুয়া পরিচয়ে ফোন করে অর্থ দাবি, সতর্ক থাকার আহ্বান ইউএনও’র Logo হরিপুরে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৩ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর Logo নাটোর-১ আসন হবে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্তঃ -আবুল কালাম আজাদ Logo যত বড় নেতাই হন না কেন- অপকর্ম করলে তার জায়গা বিএনপিতে হবে নাঃ -অমিত Logo র‌্যাবের অভিযানে ৯৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ; গ্রেফতার ০৫ Logo বালিয়াকান্দিতে আরাফাত রহমান কোকো গোল্ডকাপ উদ্বোধন Logo কখনো ডিবি কখনো মানবাধিকার কর্মী, অবশেষে শশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার প্রতারক কামাল Logo নোয়াখালীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু Logo মাধবপুর বাসস্ট্যান্ডে ৯০ বোতল বিদেশি মদসহ আটক ১ Logo তানোর-বায়া রাস্তায় ইট ও খানাখন্দ বাড়িয়েছে যাত্রীদের জীবনঝুঁকি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

তানোর-বায়া রাস্তায় ইট ও খানাখন্দ বাড়িয়েছে যাত্রীদের জীবনঝুঁকি

আলিফ হোসেনঃ

রাজশাহীর তানোর-বায়া প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ইটের টুকরো এবং খানাখন্দ এখন যানবাহন যাত্রীদের জন্য জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ছোট-বড় দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনও।

 

এদিকে তানোর থেকে রাজশাহী শহরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।তানোর-কাশিমবাজার-মোহনপুর রাস্তা সিঙ্গেল হওয়ায় ট্রাক-বাস বিকল্প রাস্তা হিসেবে এই রাস্তায় যাতায়াত করতে পারছেনা।ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ তানোর-বায়া রাস্তায় যাতায়াত করছে। অনেক স্থানে রাস্তা ফুলে ও ফেটে কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও বিশাল অংশ দেবে আছে। বর্তমানে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সেখানে পানি জমে রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এতে যাত্রীবাহী বাস খানাখন্দের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী বলেন, বর্তমানে খানাখন্দে সড়ক বিভাগ ইট ও বালু ফেলছে। বৃষ্টিতে বালু ধুয়ে যাচ্ছে। যানবাহনের চাকার চাপে ইট ভেঙে যায়। চাকার নিচে পড়ে একেকটি খোয়া বুলেট চূড় গতিতে ছুটে। এসব ইটের খোয়া পাশ দিয়ে চলাচল করা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।

 

এদিকে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক।তানোরের নির্মাণাধীন কয়েকটি কোল্ড স্টোরে এসব ওভার লোড ড্রাম ট্রাকে করে প্রতিদিন বালু ও ভরাট নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা নস্টের অন্যতম কারণ এসব ড্রাম ট্রাক। গত ৬ আগস্ট বুধবার সরেজমিন তানোর কাশেম বাজার মোড় থেকে বায়া রাস্তায় দেখা গেছে, কালীগঞ্জ বাজার থেকে দেওতলা মোড়ের দক্ষিণের রাস্তা, চান্দুড়িয়া চকির ঘাট ব্রিজের সামনে, হাড়দহ বিলের মাঝের নাইস গার্ডেনের সামনের কয়েকটি স্থান, বাগধানী মোড়ের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকের রাস্তা এবং বাগসারা মোড়ের উত্তর দিকে ও দক্ষিণ দিকের বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।বৃষ্টির পানি জমে থাকার পাশাপাশি পিচ্ছিল হয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক, বাস, ট্রলি, সিএনজি ও মটরসাইকেল চালকসহ যান চলাচলে চরম দূর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

 

অপরদিকে বাগধানী ও দুয়ারী মোড়ে পুরোনো দুটি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। তবে, ওই দুই ব্রিজের পার্শ্বেই পৃথক নতুন দুটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।কিন্তু সংযোগ সড়ক কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় চালু করা হয়নি ব্রিজ দুটি। ফলে পুরোনো ঝুঁকিপুর্ণ ব্রিজ দুটির উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। ওই ব্রিজ দুটিরও বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে-কোনো সময় ওই ব্রিজ দুটিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন চলাচলকারীরা। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে চলাচলকারী যানবাহনসহ জরুরি প্রয়োজনে শহরে যাতায়াত এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তানোর উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, রাস্তা ভেঙে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া স্থান গুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভুয়া পরিচয়ে ফোন করে অর্থ দাবি, সতর্ক থাকার আহ্বান ইউএনও’র

error: Content is protected !!

তানোর-বায়া রাস্তায় ইট ও খানাখন্দ বাড়িয়েছে যাত্রীদের জীবনঝুঁকি

আপডেট টাইম : ৬ ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেনঃ

রাজশাহীর তানোর-বায়া প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা।রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ইটের টুকরো এবং খানাখন্দ এখন যানবাহন যাত্রীদের জন্য জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ছোট-বড় দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনও।

 

এদিকে তানোর থেকে রাজশাহী শহরে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশায় হাজারো মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।তানোর-কাশিমবাজার-মোহনপুর রাস্তা সিঙ্গেল হওয়ায় ট্রাক-বাস বিকল্প রাস্তা হিসেবে এই রাস্তায় যাতায়াত করতে পারছেনা।ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ তানোর-বায়া রাস্তায় যাতায়াত করছে। অনেক স্থানে রাস্তা ফুলে ও ফেটে কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও বিশাল অংশ দেবে আছে। বর্তমানে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সেখানে পানি জমে রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। এতে যাত্রীবাহী বাস খানাখন্দের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। পাশের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলী বলেন, বর্তমানে খানাখন্দে সড়ক বিভাগ ইট ও বালু ফেলছে। বৃষ্টিতে বালু ধুয়ে যাচ্ছে। যানবাহনের চাকার চাপে ইট ভেঙে যায়। চাকার নিচে পড়ে একেকটি খোয়া বুলেট চূড় গতিতে ছুটে। এসব ইটের খোয়া পাশ দিয়ে চলাচল করা মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।

 

এদিকে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে উঠেছে ১০ চাকার ড্রাম ট্রাক।তানোরের নির্মাণাধীন কয়েকটি কোল্ড স্টোরে এসব ওভার লোড ড্রাম ট্রাকে করে প্রতিদিন বালু ও ভরাট নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তা নস্টের অন্যতম কারণ এসব ড্রাম ট্রাক। গত ৬ আগস্ট বুধবার সরেজমিন তানোর কাশেম বাজার মোড় থেকে বায়া রাস্তায় দেখা গেছে, কালীগঞ্জ বাজার থেকে দেওতলা মোড়ের দক্ষিণের রাস্তা, চান্দুড়িয়া চকির ঘাট ব্রিজের সামনে, হাড়দহ বিলের মাঝের নাইস গার্ডেনের সামনের কয়েকটি স্থান, বাগধানী মোড়ের পূর্ব দিকে এবং পশ্চিম দিকের রাস্তা এবং বাগসারা মোড়ের উত্তর দিকে ও দক্ষিণ দিকের বিশাল এলাকা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।বৃষ্টির পানি জমে থাকার পাশাপাশি পিচ্ছিল হয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাক, বাস, ট্রলি, সিএনজি ও মটরসাইকেল চালকসহ যান চলাচলে চরম দূর্ভোগ ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

 

অপরদিকে বাগধানী ও দুয়ারী মোড়ে পুরোনো দুটি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। তবে, ওই দুই ব্রিজের পার্শ্বেই পৃথক নতুন দুটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।কিন্তু সংযোগ সড়ক কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় চালু করা হয়নি ব্রিজ দুটি। ফলে পুরোনো ঝুঁকিপুর্ণ ব্রিজ দুটির উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। ওই ব্রিজ দুটিরও বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে-কোনো সময় ওই ব্রিজ দুটিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন চলাচলকারীরা। রাস্তার এই বেহাল দশার কারণে চলাচলকারী যানবাহনসহ জরুরি প্রয়োজনে শহরে যাতায়াত এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তানোর উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, রাস্তা ভেঙে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া স্থান গুলো দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


প্রিন্ট