ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ভুয়া পরিচয়ে ফোন করে অর্থ দাবি, সতর্ক থাকার আহ্বান ইউএনও’র Logo হরিপুরে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৩ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর Logo নাটোর-১ আসন হবে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ মুক্তঃ -আবুল কালাম আজাদ Logo যত বড় নেতাই হন না কেন- অপকর্ম করলে তার জায়গা বিএনপিতে হবে নাঃ -অমিত Logo র‌্যাবের অভিযানে ৯৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩০০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ; গ্রেফতার ০৫ Logo বালিয়াকান্দিতে আরাফাত রহমান কোকো গোল্ডকাপ উদ্বোধন Logo কখনো ডিবি কখনো মানবাধিকার কর্মী, অবশেষে শশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার প্রতারক কামাল Logo নোয়াখালীতে এক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু Logo মাধবপুর বাসস্ট্যান্ডে ৯০ বোতল বিদেশি মদসহ আটক ১ Logo তানোর-বায়া রাস্তায় ইট ও খানাখন্দ বাড়িয়েছে যাত্রীদের জীবনঝুঁকি
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কখনো ডিবি কখনো মানবাধিকার কর্মী, অবশেষে শশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার প্রতারক কামাল

নাঈম ইসলামঃ

মানবাধিকারকর্মী, কখনো ইমিগ্রেশন অফিসার, আবার কখনো ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা। নানান ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষের আস্থা অর্জন করে প্রতারণা করাই ছিল যার পেশা। শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকা সেই ‘প্রতারক’ কামাল হোসেন ওরফে ইমন (৩৭) ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।

 

প্রতারণার শিকার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

জানা গেছে, মো. আশরাফুল ইসলাম তার বাবা, মা এবং খালাকে নিয়ে পবিত্র উমরাহ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় অনলাইনে কামাল হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কামাল নিজেকে ইমিগ্রেশন অফিসার পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তার একটি হজ এজেন্সি রয়েছে। এরপর আশরাফুল ইসলাম উমরাহ যাওয়ার ব্যাপারে তার সঙ্গে চুক্তি করেন। তখনই শুরু হয় প্রতারণার ছক। উমরাহর জন্য ভিসা, টিকিট, হোটেল বুকিংসহ অন্যান্য খরচ বাবদ অগ্রিম ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। তারপর থেকে কামালের ফোন বন্ধ। ঠিকানা ভুয়া। এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন সবটাই ছিল সাজানো ফাঁদ, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

 

আরও জানা গেছে, ঘটনার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় প্রতারণার মূল হোতা কামাল হোসেন। পরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ঠাকুর লক্ষ্মীকুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে কামালকে গ্রেপ্তার করে। ওই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামাল কেবল এককভাবে প্রতারক নন, বরং একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। উমরাহর মতো ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়কে পুঁজি করে তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কখনো মানবাধিকার, কখনো ইমিগ্রেশন, আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মানুষের বিশ্বাস আদায় করাই ছিল তার প্রধান কৌশল।

 

পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিচয় অনেক মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তার সঙ্গে জড়িত এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভুয়া পরিচয়ে ফোন করে অর্থ দাবি, সতর্ক থাকার আহ্বান ইউএনও’র

error: Content is protected !!

কখনো ডিবি কখনো মানবাধিকার কর্মী, অবশেষে শশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার প্রতারক কামাল

আপডেট টাইম : ৪ ঘন্টা আগে
নাঈম ইসলাম, সদর উপজেলা (রংপুর) প্রতিনিধি :

নাঈম ইসলামঃ

মানবাধিকারকর্মী, কখনো ইমিগ্রেশন অফিসার, আবার কখনো ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা। নানান ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষের আস্থা অর্জন করে প্রতারণা করাই ছিল যার পেশা। শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকা সেই ‘প্রতারক’ কামাল হোসেন ওরফে ইমন (৩৭) ধরা পড়েছেন পুলিশের জালে।

 

প্রতারণার শিকার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার আশরাফুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে নাটোরের নলডাঙ্গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

জানা গেছে, মো. আশরাফুল ইসলাম তার বাবা, মা এবং খালাকে নিয়ে পবিত্র উমরাহ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় অনলাইনে কামাল হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। কামাল নিজেকে ইমিগ্রেশন অফিসার পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, তার একটি হজ এজেন্সি রয়েছে। এরপর আশরাফুল ইসলাম উমরাহ যাওয়ার ব্যাপারে তার সঙ্গে চুক্তি করেন। তখনই শুরু হয় প্রতারণার ছক। উমরাহর জন্য ভিসা, টিকিট, হোটেল বুকিংসহ অন্যান্য খরচ বাবদ অগ্রিম ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন। তারপর থেকে কামালের ফোন বন্ধ। ঠিকানা ভুয়া। এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন সবটাই ছিল সাজানো ফাঁদ, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

 

আরও জানা গেছে, ঘটনার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় প্রতারণার মূল হোতা কামাল হোসেন। পরে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল নাটোরের নলডাঙ্গা থানার ঠাকুর লক্ষ্মীকুল গ্রামে অভিযান চালিয়ে কামালকে গ্রেপ্তার করে। ওই গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কামাল কেবল এককভাবে প্রতারক নন, বরং একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সক্রিয় সদস্য। উমরাহর মতো ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়কে পুঁজি করে তিনি প্রতারণা করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। কখনো মানবাধিকার, কখনো ইমিগ্রেশন, আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে মানুষের বিশ্বাস আদায় করাই ছিল তার প্রধান কৌশল।

 

পীরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিচয় অনেক মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন। তার সঙ্গে জড়িত এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।


প্রিন্ট