মোঃ রফিকুল ইসলামঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বোয়ালমারী পৌরসভা ও উপজেলার উদ্যোগে পৃথক দুটি বিশাল গণমিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) আসরের নামাজের পর ছোলনা সালামিয়া কামিল মাদরাসা থেকে পৌরসভার ও উপজেলারটি বোয়ালমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় বোয়ালমারী চৌরাস্তার মোড়ে এক পথসভার মাধ্যমে।
গণমিছিলে পৌরসভা এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা, জামায়াতের দলীয় পতাকা ও বিভিন্ন আকৃতির দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বোয়ালমারী উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ বিল্লাল হুসাইন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি সাজ্জাদ হুসাইন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা, মধুখালী) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস মোল্লা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পৌর জামায়াতের আমির সৈয়দ নিয়ামুল হাসান, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, যুব বিভাগের সভাপতি ইমরান হোসেন এবং ছাত্র শিবিরের সভাপতি আলী আজম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই ছিল এই জনপদের আত্মমর্যাদার প্রতিচ্ছবি। সেদিন ছাত্র-জনতার মহাজাগরণে তৎকালীন সরকার ব্যবস্থা কেঁপে উঠেছিল। আবু সাইদসহ যারা শহীদ হয়েছেন, আমরা তাদের আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।
তারা আরও দাবি করেন, “গণঅভ্যুত্থানের চেতনা আমাদের আগামী দিনের পথচলার প্রেরণা। এই চেতনা কখনো মুছে যাবে না। বাংলার জনগণ আজও তৎকালীন স্বৈরশাসক খুনি হাসিনার বিচার চায়। তার শাসনামলে সংগঠিত গণহত্যা ও নিপীড়নের বিচার একদিন হবেই।”
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, “জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেও আন্দোলন দমানো যায়নি। বরং অভ্যুত্থানের পরবর্তীতে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।”
প্রিন্ট