ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ Logo বারান্দায় টিনের ছাউনির নিচে চলছে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা Logo বিদেশী পিস্তল ও ম্যাগাজিন সহ ০১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo চরভদ্রাসন জমে উঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ভোট প্রার্থনায় ব্যাস্ত প্রার্থীরা Logo সালথায় বালু উত্তোলন ও বনাঞ্চল উজাড় করে মাটি বিক্রির দায়ে জরিমানা Logo তানোরে হিমাগারে রাখা আলুতে গাছ Logo জমি বাড়ি থেকেও আবাসন ঘর বাগিয়ে নিলেন খইমদ্দিন Logo নাগেশ্বরীতে ফার্নিচার শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালিত Logo মুকসুদপুরে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু Logo সুবর্ণচরে সংখ্যালঘুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অবশেষে ১৭ দিন পর গ্রামবাসীর জালে আটক সেই কুমির!

  • ফরিদপুর অফিসঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১
  • ১৭০ বার পঠিত

ফরিদপুরে পদ্মা নদী সংলগ্ন একটি জলাশয়ে এসে অবস্থান করতে থাকা সেই বিরল প্রজাতির কুমিরটি উদ্ধার হয়েছে। ১৭ দিন পর সোমবার দুপুরের দিকে এই কুমিরকে পানিতে দেখে গ্রামবাসী জাল দিয়ে আটক করে।

পরে বনবিভাগে খবর দেয়। কুমিরটিকে বিকাল ৫টার দিকে পদ্মার ওই জলাশয়ে জাল দিয়ে আটকে ডাঙ্গায় তোলা হয়। সেখানে কুমির দেখতে শত শত উৎসুক জনতা হাজির হয়।

ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে ছালাম খাঁর ডাঙ্গি গ্রামে পদ্মা নদী সংলগ্ন ফালুর কুম নামে পরিচিত ওই জলাশয়ে গত ১৭ দিনেরও বেশি আগে এসে অবস্থান নেয় মিঠা পানির কুমিরটি।

ছালাম খাঁর ডাঙ্গি গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কালাম খান বলেন, এতোদিন গভীর পানিতে থাকার পর আজ কুমিরটি পশ্চিমের অল্প পানিতে এসে টানের দিকে উঠতে থাকে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয়রা সেটি দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেয়। এরপর সবাই মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটিকে আটক করা হয়।

কালাম খান জানান, বিকাল ৬টার দিকে তারা কুমিরটিকে সেখান থেকে জাল দিয়ে বেঁধে ট্রলারে করে ফরিদপুরের দিকে নিয়ে আসার জন্য গোলডাঙ্গি থেকে রওনা হয়েছেন। আপাতত সেটি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামানের হেফাজতে রাখা হবে।

সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মোস্তফা সরোয়ার বলেন, কুমিরটি প্রায় সাত ফুট লম্বা এবং দেড় ফুট চওড়া। এটি একটি বড় কুমির। নদীতে গত কয়েকদিন পানি কমতে থাকায় সেটি ডাঙ্গার দিকে চলে এসেছিল।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, তারা বিষয়টি এরইমধ্যে বনবিভাগকে জানিয়েছেন। তারা এলে তাদের নিকট কুমিরটি হস্তান্তর করা হবে। কুমরিটি নিরাপদে আটক করতে পারায় গ্রামবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে তিনি জানান।

ফরিদপুর বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান বলেন, কুমিরটিকে আটক করতে পারার খবর পেয়ে বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা ফরিদপুরে আসছেন। তারা এলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কুমিরটির অবমুক্তির ব্যাপারে।

গত ২২ জুলাই কুমিরটি স্থানীয়দের নজরে আসার পর প্রথম ফরিদপুরের বনবিভাগ এবং পরে খুলনা থেকে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ১২ সদস্যের দল ফরিদপুরে এসে দুই দফায় সেটি উদ্ধারে অভিযান চালায়।

কুমিরের আগমনের খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আতঙ্কও তৈরি হয়। কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে এবং অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়। অনেকে সেটি দেখতে ছুটে যান দুর্গম চরে।

বিরল প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় এই মিঠাপানির দুটি কুমির সাম্প্রতিককালে উদ্ধার করেছে বন্য ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। কিন্তু এতে কোনো নারী কুমির নেই। বনবিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন, কুমিরটি নারী প্রজাতির হলে সাফারি পার্কে থাকা পুরুষ প্রজাতির কুমিরের সঙ্গে প্রজনন ঘটানো ঘটানো সম্ভবনা ছিলো, তাতে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রজাতির কুমিরের বংশ বৃদ্ধি করানো যায়।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পাবনার চাটমোহরে ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ

error: Content is protected !!

অবশেষে ১৭ দিন পর গ্রামবাসীর জালে আটক সেই কুমির!

আপডেট টাইম : ০৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অগাস্ট ২০২১

ফরিদপুরে পদ্মা নদী সংলগ্ন একটি জলাশয়ে এসে অবস্থান করতে থাকা সেই বিরল প্রজাতির কুমিরটি উদ্ধার হয়েছে। ১৭ দিন পর সোমবার দুপুরের দিকে এই কুমিরকে পানিতে দেখে গ্রামবাসী জাল দিয়ে আটক করে।

পরে বনবিভাগে খবর দেয়। কুমিরটিকে বিকাল ৫টার দিকে পদ্মার ওই জলাশয়ে জাল দিয়ে আটকে ডাঙ্গায় তোলা হয়। সেখানে কুমির দেখতে শত শত উৎসুক জনতা হাজির হয়।

ফরিদপুরের সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে ছালাম খাঁর ডাঙ্গি গ্রামে পদ্মা নদী সংলগ্ন ফালুর কুম নামে পরিচিত ওই জলাশয়ে গত ১৭ দিনেরও বেশি আগে এসে অবস্থান নেয় মিঠা পানির কুমিরটি।

ছালাম খাঁর ডাঙ্গি গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কালাম খান বলেন, এতোদিন গভীর পানিতে থাকার পর আজ কুমিরটি পশ্চিমের অল্প পানিতে এসে টানের দিকে উঠতে থাকে। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্থানীয়রা সেটি দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেয়। এরপর সবাই মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটিকে আটক করা হয়।

কালাম খান জানান, বিকাল ৬টার দিকে তারা কুমিরটিকে সেখান থেকে জাল দিয়ে বেঁধে ট্রলারে করে ফরিদপুরের দিকে নিয়ে আসার জন্য গোলডাঙ্গি থেকে রওনা হয়েছেন। আপাতত সেটি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামানের হেফাজতে রাখা হবে।

সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মোস্তফা সরোয়ার বলেন, কুমিরটি প্রায় সাত ফুট লম্বা এবং দেড় ফুট চওড়া। এটি একটি বড় কুমির। নদীতে গত কয়েকদিন পানি কমতে থাকায় সেটি ডাঙ্গার দিকে চলে এসেছিল।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, তারা বিষয়টি এরইমধ্যে বনবিভাগকে জানিয়েছেন। তারা এলে তাদের নিকট কুমিরটি হস্তান্তর করা হবে। কুমরিটি নিরাপদে আটক করতে পারায় গ্রামবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে তিনি জানান।

ফরিদপুর বনবিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান বলেন, কুমিরটিকে আটক করতে পারার খবর পেয়ে বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তারা ফরিদপুরে আসছেন। তারা এলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কুমিরটির অবমুক্তির ব্যাপারে।

গত ২২ জুলাই কুমিরটি স্থানীয়দের নজরে আসার পর প্রথম ফরিদপুরের বনবিভাগ এবং পরে খুলনা থেকে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ১২ সদস্যের দল ফরিদপুরে এসে দুই দফায় সেটি উদ্ধারে অভিযান চালায়।

কুমিরের আগমনের খবরে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের পাশাপাশি আতঙ্কও তৈরি হয়। কুমিরটিকে বিরক্ত না করতে এবং অহেতুক আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়। অনেকে সেটি দেখতে ছুটে যান দুর্গম চরে।

বিরল প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় এই মিঠাপানির দুটি কুমির সাম্প্রতিককালে উদ্ধার করেছে বন্য ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। কিন্তু এতে কোনো নারী কুমির নেই। বনবিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন, কুমিরটি নারী প্রজাতির হলে সাফারি পার্কে থাকা পুরুষ প্রজাতির কুমিরের সঙ্গে প্রজনন ঘটানো ঘটানো সম্ভবনা ছিলো, তাতে বিলুপ্ত প্রায় এই প্রজাতির কুমিরের বংশ বৃদ্ধি করানো যায়।