মোঃ ইকবাল হোসেন:
এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারী আল-আমিন (২৬) নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বুঁদ হয়ে পড়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুর ১২টায় আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখায় একাধিক মাদক মামলার আসামি আল-আমিন।
এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম. রায়হানুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসান।
তিনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬(৫) ধারায় আল-আমিনকে ৪ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
ঘটনাটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া নতুন বাজার এলাকায় ঘটেছে।
মাদকসেবী আল-আমিন পাকুড়িয়া গ্রামের আহাদ মোল্যার ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিগত দিনে তিনটি মাদক মামলা হয়েছে—বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম।
সরেজমিনে গেলে পাকুড়িয়া গ্রামের মিজান খানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আল-আমিন এলাকার একজন চিহ্নিত মাদককারবারী ও মাদকসেবী। তার কারণে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
তারা বলেন, “আমাদের সন্তানদের নিয়ে বড় আতঙ্কে আছি।”
এলাকাবাসী আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে মাদক বিক্রির দায়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে হ্যান্ডকাপ পরালে, সে হাতকড়া নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর তাকে হাজির করা হয়।
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজালাল আলম বলেন, “আল-আমিন নামের একজন চিহ্নিত মাদকসেবী ও মাদককারবারীকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। সোমবার তাকে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।”
আলফাডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. কে. এম. রায়হানুর রহমান বলেন, “নেশাগ্রস্ত আল-আমিন পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বিরক্তিকর আচরণ করলে, পুলিশের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে ৪ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।”
প্রিন্ট