মুরাদ হোসেনঃ
আজ ৪ আগস্ট, মাগুরার মহম্মদপুরের স্বরণীয় দিন। ২০২৪ সালের এই দিনে এক দফা এক দাবীতে সারাদেশে ন্যায় মহম্মদপুরেও ছাত্র জনতা বিক্ষোভ করেন। ছাত্র জনতার ডাকে আয়োজিত বিক্ষোভে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মুখোমুখি অবস্থা নেয় ছাত্র জনতা। তখন ছাত্র জনতাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়া হয়। সেই গুলিতে দুইজন ছাত্র আব্দুল আহাদ ও সুমন মিয়া শহীদ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কয়েকজন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আহাদ উপজেলা সদরের ব্যাপারীপাড়ার মোঃ ইউনুস বিশ্বাসের ছেলে এবং শহীদ সুমন বালিদিয়া ইউনিয়নের বালিদিয়া গ্রামের কানু শেখের ছেলে। এ উপলক্ষে রোবিবার (৩ আগস্ট) বিকালে উপজেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রেস কনফান্সে করেছেন। তাদের দাবী দোষীদের শাস্তি ও শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
৪ আগস্ট সকাল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ অংশ নেয়। তারা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার, দুর্নীতি বন্ধ, ও ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্র জনতাকে আন্দোলন করতে দেবেনা এটা আগে থেকেই আওয়ামীলীগ ও পুলিশ প্রস্তুত নিয়ে থাকে। কিন্তু ছাত্র জনতা সে বাধাকে উপেক্ষা করে বেলা ১০ ঘটিকায় আমিনুর রহমান কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলার দিকে এগোতে থাকে। মহিলা কলেজের সামনে পৌঁছালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়।
ছাত্র জনতার তোপের মুখে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে ছাত্র জনতা বিক্ষোভ নিয়ে থানার দিকে অগ্রসর হলে তাদের থামাতে আবার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ছাত্র আহাদ ও সুমন নিহত হন এবং আহত হন আরও কয়েকজন।
নিহত সুমনের লাশ নিয়ে ছাত্র জনতা বিক্ষোভ করতে থাকে। ৩৬ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ আহতরা দেশ-বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি।
প্রিন্ট