ঢাকা , বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত Logo নাগরপুরে জব্বার হত্যা: মূল আসামি এখনও পলাতক, দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ Logo কুষ্টিয়ায় ডাম্প ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ২ Logo শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষে রূপগঞ্জে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo নরসিংদী পুলিশের অভিযানে অস্ত্র, গুলিসহ একজন গ্রেপ্তার Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চীনে এক লাখ ২০ হাজার টন আম রপ্তানির উদ্যোগ Logo কালাইয়ে শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোদাগাড়ীতে ফিরে আসছে মাইড়্যার চাষ Logo প্রতিনিয়ত যাচ্ছে প্রাণ, তবুও থেমে নেই মাদারীপুরে মানবপাচার চক্র Logo লালপুরে আবারো প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

অস্বচ্ছল মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ গরু বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ, আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত!

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

অসহায় ও অস্বচ্ছল মৎস্যজীবীদের বিনামূল্যে গরু বিতরণের কথা থাকলেও ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেই প্রকল্পে উঠেছে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, প্রত্যেকটি গরুর জন্য উপকারভোগীদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।

.

জানা গেছে, গত ১৪ মে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে “দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ-উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় এসব গরু বিতরণ করা হয়। প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

.

সোতাশী গ্রামের মৎস্যজীবী অনিল মালো অভিযোগ করেন, তার মৎস্যজীবী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি এবং তার ছেলে নির্মল মালোর মাধ্যমে দুটি গরু পেতে ৩০ হাজার টাকা দেন। নির্মল প্রথমে প্রতিশ্রুতি দেন, উন্নত জাতের ৮০ কেজি ওজনের ফ্রিজিয়ান গরু দেবেন, কিন্তু পরবর্তীতে দেওয়া হয় কম ওজনের এবং নিম্নমানের গরু। এদিকে মঙ্গলবার (২০ মে) গরুর চিকিৎসা বাবদ তাকে আরও প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।

.

অজিত মালোর স্ত্রী যমুনা অভিযোগ করেন, তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার স্বামীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তার দাবি, নির্মল মালো পুরো সোতাশী গ্রামে প্রতিটি গরুর জন্য ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।

.

নির্মল মালোকে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া মেলেনি।

.

এছাড়া আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। উপকারভোগী অঞ্জনা মালো বলেন, তিনি ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন নাজিম উদ্দিনকে। বিকাশ মালো জানান, টাকা দিতে না পারায় তার নাম তালিকায় ওঠেনি। তবে নাজিম উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কেবল স্টাম্প ও যাতায়াত খরচ বাবদ কিছু টাকা নিয়েছেন।

.

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা যাচাই-বাছাই করে গরু বিতরণ করেছি। তবে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে কিছু অসঙ্গতি শুনেছি, তাই অফিসের লোকদের মাঠে পাঠানো হয়েছে।”

.

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, “আমার দায়িত্ব ছিল শুধু উদ্বোধন করা। বিতরণের সময় ১০টি অনিয়মিত নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের মাঝে গরু বিতরণ করা হয়েছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৃথক পৃথক স্থানে বজ্রপাতে ৩ জন নিহত

error: Content is protected !!

অস্বচ্ছল মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ গরু বিতরণে দুর্নীতির অভিযোগ, আদায় করা হয় ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত!

আপডেট টাইম : ১০ ঘন্টা আগে
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

অসহায় ও অস্বচ্ছল মৎস্যজীবীদের বিনামূল্যে গরু বিতরণের কথা থাকলেও ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সেই প্রকল্পে উঠেছে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, প্রত্যেকটি গরুর জন্য উপকারভোগীদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।

.

জানা গেছে, গত ১৪ মে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে “দেশীয় প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ-উন্নয়ন প্রকল্প” এর আওতায় এসব গরু বিতরণ করা হয়। প্রকল্পটির লক্ষ্য ছিল দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।

.

সোতাশী গ্রামের মৎস্যজীবী অনিল মালো অভিযোগ করেন, তার মৎস্যজীবী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি এবং তার ছেলে নির্মল মালোর মাধ্যমে দুটি গরু পেতে ৩০ হাজার টাকা দেন। নির্মল প্রথমে প্রতিশ্রুতি দেন, উন্নত জাতের ৮০ কেজি ওজনের ফ্রিজিয়ান গরু দেবেন, কিন্তু পরবর্তীতে দেওয়া হয় কম ওজনের এবং নিম্নমানের গরু। এদিকে মঙ্গলবার (২০ মে) গরুর চিকিৎসা বাবদ তাকে আরও প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে।

.

অজিত মালোর স্ত্রী যমুনা অভিযোগ করেন, তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় তার স্বামীর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। তার দাবি, নির্মল মালো পুরো সোতাশী গ্রামে প্রতিটি গরুর জন্য ১৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন।

.

নির্মল মালোকে তার বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া মেলেনি।

.

এছাড়া আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। উপকারভোগী অঞ্জনা মালো বলেন, তিনি ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন নাজিম উদ্দিনকে। বিকাশ মালো জানান, টাকা দিতে না পারায় তার নাম তালিকায় ওঠেনি। তবে নাজিম উদ্দিন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কেবল স্টাম্প ও যাতায়াত খরচ বাবদ কিছু টাকা নিয়েছেন।

.

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমরা যাচাই-বাছাই করে গরু বিতরণ করেছি। তবে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে, সে বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে কিছু অসঙ্গতি শুনেছি, তাই অফিসের লোকদের মাঠে পাঠানো হয়েছে।”

.

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, “আমার দায়িত্ব ছিল শুধু উদ্বোধন করা। বিতরণের সময় ১০টি অনিয়মিত নাম বাদ দিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের মাঝে গরু বিতরণ করা হয়েছে।”


প্রিন্ট