ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগরপুরে জব্বার হত্যা: মূল আসামি এখনও পলাতক, দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

সোলায়মানঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মো. জব্বার মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে উপজেলার সুদামপাড়া বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

.

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত এখনো গ্রেফতার হয়নি। তারা দ্রুত বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

.

এদিকে, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি সুদামপাড়া (পূর্ব পাড়া) গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (৫০) কে সোমবার রাতে থানা চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. বাদশা মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।

.

বিক্ষোভ চলাকালে বাদশা মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এটি বিক্ষুব্ধ জনতা না তার নিজ পরিবারের লোকজন ঘটিয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

.

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবক গোলাম মওলা, নাগরপুর উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক, মামুদনগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মাওলানা মো. মাসুদুর রহমান, সেক্রেটারি মো. ইউসুফ মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান, ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ফজলে রাব্বী প্রমুখ। কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেন।

.

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম বলেন, “কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল নেবে না। আমরা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।”

.

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, “এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরিপরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী যুবক নিহত

error: Content is protected !!

নাগরপুরে জব্বার হত্যা: মূল আসামি এখনও পলাতক, দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
সোলায়মান, নাগরপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি :

সোলায়মানঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মো. জব্বার মিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে উপজেলার সুদামপাড়া বাজারে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

.

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মূল অভিযুক্ত এখনো গ্রেফতার হয়নি। তারা দ্রুত বিচার ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান।

.

এদিকে, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি সুদামপাড়া (পূর্ব পাড়া) গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (৫০) কে সোমবার রাতে থানা চত্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. বাদশা মিয়া এখনও পলাতক রয়েছেন।

.

বিক্ষোভ চলাকালে বাদশা মিয়ার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এটি বিক্ষুব্ধ জনতা না তার নিজ পরিবারের লোকজন ঘটিয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

.

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবক গোলাম মওলা, নাগরপুর উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক, মামুদনগর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী সভাপতি মাওলানা মো. মাসুদুর রহমান, সেক্রেটারি মো. ইউসুফ মিয়া, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান, ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি ফজলে রাব্বী প্রমুখ। কর্মসূচিতে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনসাধারণ অংশ নেন।

.

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম বলেন, “কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় দল নেবে না। আমরা এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।”

.

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, “এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”


প্রিন্ট