সেলিম সানোয়ার পলাশঃ
প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে মাইড়্যা। আগে চরাঞ্চলে ব্যাপক হারে চাষ হতো মাইড়্যা। অন্যান্য ফসল চাষের কারনে কৃষকরা আর মাইড়্যা চাষ করে না। যার ফলে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে মাইড়্যার চাষ। মাইড়্যা হচ্ছে খোসা যুক্ত ফসল। খোসার ফিতর কালো রংগের ছোট দানাদান বীজ থাকে। খোসা ছড়িয়ে বীজ থেকে ময়দা হয়। এক সময় রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ম্যাইড়্যার ছিল চাহিদা ছিল প্রচুর। মাইড়্যার রুটি ছিল এ অঞ্চলের মানুষের জনপ্রিয় খাবার। বিলুপ্ত এই মাইড়্যার চাষ হয়েছে গোদাগাড়ীতে। গোদাগাড়ীর লালডাং বেলতলা এলাকায় কৃষকরা চাষ করেছে মাইড়্যার।
.
মাইড়্যার ক্ষেতে গিয়ে কথা হয় বেলতলা গ্রামের কৃষক মাইড়্যা চাষি সাইদুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, এক সময় বাপ দাদারা মাইড়্যার চাষ করতো। আমরা মাইড়্যার রুটি খেতাম। মাইড়্যার রুটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এখন আর মাইড়্যার চাষ হয়না। মাইড়্যা হচ্চে চৈতা ফসল। আমি ১৫ কাঠা জমিতে মাইড়্যা চাষ করেছি। ফালগুণ মাসে চমিতে মাইড়্যার বীজ বুনেছি। জমিতে মাইড়্যার শীষে বীজ হয়ে গেছে এবং পাকতে শুরু করেছে। কিছু দিনের মধ্যে মাইড়্যা কাটা শুরু করব।
.
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৫ কাটা জমিতে ৩০ কেজী সার ও ৩ বার সেচ দিয়েছি। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ টাকা খরচ হয়েছে। আর এক বার হয়ত সেচ দিতে হবে। তাতে মোট খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। বিঘা প্রতি ১০ মন করে মাইড়্যার ফলন আসা করছি। বর্তমানে বাজারে ৩ হাজার ২শ’ টাকা মণ দরে মাইড়্যা বিক্রি হচ্ছে। সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫ কাঠা জমিতে ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার টাকা লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।
.
রামপাড়া গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, ১০ কাঠা জমিতে মাইড়্যার চাষ করেছি। মাইড়্যার জমিতে সার ও ৪ বার সে দিতে হয়। ১০ কাঠা জমিতে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১১ মণ ফলন হয়। বর্তমানে মাইড়্যা ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা কেজী দরে বিক্রি হচ্ছে। রুটির জন্য এর চাহিদা বেশী।
.
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার মরিয়ম আহমেদ বলেন, মাইড়্যা ফসলটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। গোদাগাড়ীতে কিছু কৃষক মাইড়্যা ফসলের চাষ করেছে। পুনরাই এ ফসলের চাষ ফিরে আসছে। এটি একটি লাভ জনক ফসল। কৃষকরা মাইড়্যা চাষ করলে লাভবান হবে।
প্রিন্ট