ইকবাল হোসেনঃ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার ১০ নং নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলাম তালুকদার ও সহকারী শিক্ষক এনামুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে শামীম আহমেদ সহ অনন্ত ১৫ জনের স্বাক্ষর যুক্ত কাগজে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় অবস্থিত ১০ নং নওয়াপাড়া সরকারি প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃমফিদুল ইসলাম তালুকদার ও সহকারী শিক্ষক এনামুল হক ওরফে বিপুল দীর্ঘ দিন ধরে একই বিদ্যালয়ে অবস্থান করায় বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। বিদ্যালয়টি তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয়ে উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের অদক্ষতায় বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম সহ কোনো কিছুই ঠিকমতো চলছেনা। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষকে রীতিমতো একটি রান্নাঘর বানিয়েছেন। সেখানে তিনি প্রতিনিয়ত শিক্ষকদের দিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে রান্না করিয়ে খান, এতে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
সহকারী শিক্ষক এনামুল হক বিপুল প্রধান শিক্ষকের আস্কারায় পেয়ে প্রতিনিয়ত দেরিতে ক্লাসে আসেন। অধিকাংশ দিনই অফিসের কাজের মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয় ত্যগ করে ব্যক্তিগত কার্যক্রম ও শিক্ষক রাজনীতি করে বেড়ান। নিজের সন্তান কে অন্য স্কুল থেকে এনেক্লাসবাদ দিয়ে সন্তানকে পড়ান। এতে প্রধান শিক্ষকের কোনো মাথাব্যাথা নেই। মাঝেমধ্যে তিনি ক্লাসে গেলেও ফোনে ব্যস্ত থাকেন। প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকায় সরকারি বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ে সম্পন্ন ব্যয় না করে অবশিষ্ট টাকা তার ব্যক্তিগত উন্নয়নে ব্যয় করেন। এভাবে চলতে থাকলে বিদ্যালয়ের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ্য করেছে, প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস. এম আকরাম হোসেনের আত্মীয় ও সহকারী শিক্ষক এনামুল হক আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ০১ নংওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আকতার শিকদারের পুত্র হওয়ায় দীর্ঘ দিন যাবৎ এই বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। অবিলম্বে তাদের বদলীর কথা জানিয়েছেন আবেদনকারীরা।
সহকারী শিক্ষক এনামুল হক জানান, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা একটা ষড়যন্ত্র। এ ঘটনার সাথে আমি কোনো ভাবেই জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মফিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, গত ১৫ অক্টোবর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামিমা নাছরিন ২য় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গায়ে হাত তোলে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিক্ষা অফিসারের কাছে শামিমা নাছরিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার জেরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আমি মনে করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, একই লেখা দুইটি দরখাস্ত পেয়েছি। একটি একজন অভিভাবক ও এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দিয়েছে। আগামীস প্তাহে যে কোনো দিন আমরা দুটি দরখাস্তর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট

হিলিতে বিদুৎ স্পৃষ্টে নিহত-১আহত হয়েছে ৬ জন 
মোঃ ইকবাল হোসেন, আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি 




















